জলবায়ু ঝুঁকিতে বাংলাদেশ, অবিলম্বে

নিজস্ব প্রতিবেদক, এগ্রিকেয়ার২৪.কম: জলবায়ু ঝুঁকিতে বাংলাদেশ, অবিলম্বে সকল দেশকে জলবায়ু চুক্তি মানার আহ্বান জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।  তারা বলছেন, উন্নত বিশ্বকে জলবায়ু পরিবর্তনের সকল দায় নিতে হবে এবং অবিলম্বে সকল দেশকে জলবায়ু চুক্তি মানতে হবে।

বিশ্বব্যাপী অনুষ্ঠিত জলবায়ু ধর্মঘটের সাথে সংহতি জানিয়ে বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত সমাবেশ সংশ্লিষ্টরা এ আহ্বান জানানোর পাশিপাশি এসব কথা বলেন। সমাবেশের পাশাপাশি অনুষ্ঠিত হয় শোভাযাত্রা।



আজ বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৯) ঢাকার শাহাবাগ এলাকায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলার সামনে অনুষ্ঠিত এ সমাবেশ ও শোভাযাত্রায় জলবায়ুর ওপর বিভিন্ন স্লোগান সংবলিত প্ল্যাকার্ড, ব্যানার নিয়ে উপস্থিত হন সংশ্লিষ্টরা।

পরিবেশ বাচাঁও আন্দোলন(পবা) ও বারসিকের যৌথ উদ্যোগে অনুষ্ঠিত এ কর্মসূচিতে সভাপতিত্ব করেন লেখক ও গবেষক পাভেল পার্থ। সঞ্চালনায় ছিলেন পবা’র সম্পাদক ফেরদৌস আহমেদ উজ্জল।

সমাবেশে বক্তব্য রাখেন ডিয়াকোনিয়ার প্রতিনিধি খোদেজা সুলতানা লোপা, বারসিকের পরিচালক সৈয়দ আলী বিশ্বাষ, মো: জাহাঙ্গীর আলম, সুবন্ধন এর মো: হাবিবুর রহমান, এসআরএস এর অ্যাড হাসিনা খানম, সেভ দ্য রিভারের শাকিল রহমান, বস্তীবাসী তরুণী তানিয়া আক্তার সীমা প্রমূখ।

সংহতি সমাবেশে বস্তিবাসী কিশোরী তানিয়া আক্তার সীমা বলেন, আমরা বস্তিতে থাকি, অত কিছু বুঝি না। আমরা চাই যে দেশগুলো জলবায়ু সংকটের জন্যে দায়ি তাদের শাস্তি হোক। আমাদের দেশটা যেন ধনী দেশগুলার জন্য ধ্বংস না হয়।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে সবচেয়ে বড় ক্ষতির শিকার হচ্ছি আমরা বাংলাদেশের মানুষ। জলবায়ু ঝুঁকিতে সবচেয়ে অস্তিত্বের হুমকিতে পড়েছে বাংলাদেশ।

তারা বলেন, এই ঝুঁকি থেকে মুক্তি পেতে হলে প্রয়োজন বিশ্বব্যাপী এই আন্দোলনের সাথে আমাদের আরো একাত্ম হওয়া। তাই আমাদের কে আরো উচ্চকিত হয়ে এই আন্দোলনে শরিক হতে হবে। উন্নত দেশগুলো তাদের নিজেদের স্বার্থে এক থাকছে আর তাই আমাদেরকেও ঐক্যবদ্ধ হতে হবে একটি সর্বপ্রাণবাদী আন্দোলনে, জলবায়ু আন্দোলনে।

নেতৃবন্দ বলেন, হঠাৎ সুইডেনের পার্লামেন্টের সামনের ফুটপাথে প্ল্যাকার্ড হাতে বসে পড়ে একটি মেয়েটি। একাধিক অভিযোগ তার। সঙ্গে দাবিও। তার অভিযোগ, বড়রা কেউ চা য়না ছোটরা ভালো থাকুক।

সুইডেনের পার্লামেন্টের সামনে পোস্টার হাতে দাঁড়ানো এক কিশোরীর ছবি ছড়িয়ে পড়েছিল পৃথিবীর কোণায় কোণায়। প্যারিস জলবায়ু চুক্তি অনুযায়ী পরিবেশ বাঁচাতে সুইডেন যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, তা পূরণ করতে না পারায় রাষ্ট্রনেতাদেরই দায়ী করেছিল গ্রেটা থুনবার্গ নামে ওই কিশোরী।

বক্তারা জানান, এবার পৃথিবীর ৪০০ শহরে পালিত হবে ‘জলবায়ু ধর্মঘট’ বা ‘ক্লাইমেট স্ট্রাইক এবং আন্দোলনকারীর সংখ্যাটা কোটি ছাড়াবে বলে আশা করা হচ্ছে।

সমাবেশ থেকে বিভিন্ন দাবি তুলে ধরা হয়। এগুলোর মধ্যে রয়েছে, অবিলম্বে পৃথিবীর সব দেশকে জলবায়ু চুক্তি মানতে হবে। কার্বণ নি:সরণের মাত্রা কমিয়ে আনতে হবে।

ধনী ও উন্নত দেশের লাগাতার ভোগ বিলাসি জীবন পদ্ধতি বদলাতে হবে  জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য দেশ ও কোম্পানিগুলোকে ক্ষতিগ্রস্থ দেশসমূহকে উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ ও প্রনেণাদনা দিতে হবে।

আরও পড়ুন: জলবায়ুর পরিবর্তনের সাথে প্রতিবছরই বাড়ছে লবণাক্ত জমির পরিমাণ, অশনি সংকেত কৃষিতে