বিশেষ সংবাদ দাতা, এগ্রিকেয়ার২৪.কম: বাংলাদেশের টমেটো পেস্ট জাপান ও ইউরোপের বাজারে রপ্তানীর কার্যক্রম শুরু হয়েছে। বাংলাদেশ অর্গানিক প্রোডাক্টস ম্যানুফ্যাকচারার্স এ্যসোসিয়েশন এর পক্ষ থেকে টমেটো পেস্ট জাপান ও ইউরোপের বিভিন্ন দেশে রপ্তানি শুরু হবে।

আগামী মৌসুমে কন্ট্রাক্ট ফার্মিং এর মাধ্যমে এ পেস্ট উৎপাদন কার্যক্রমও শুরু করবেন সংশ্লিষ্টরা। এ বিষয়ে সংগঠনটির সভাপতি মুহাম্মদ আব্দুস ছালাম এগ্রিকেয়ার২৪.কমকে জানান, জাপান ফুড ফেয়ারে অংশগ্রহণ করে এবং ইউরোপের বিভিন্ন দেশ ঘূরে প্রায় ৮০ হাজার টন টমেটো পেস্টের অর্ডার পাওয়া গেছে।

যার রপ্তানি মূল্য প্রায় ৭ কোটি ২০ লাখ মার্কিন  ডলার বা ৫৯০ কোটি টাকা। তাই আগামি মৌসুম থেকেই টমেটো পেস্ট উৎপাদন এবং রপ্তানি শুরু করতে হবে।

আব্দুস ছালাম জানান, টমেটো পেস্ট উৎপাদনের লক্ষ্যে কন্ট্রাক্ট ফার্মিং এর মাধ্যমে ইতোমধ্যে রাজশাহী, সিলেট, খুলনা এবং রংপুর বিভাগের বিভিন্ন উপজেলায় টমেটো উৎপাদনের কাজ শুরু হয়েছে।

বাংলাদেশে এখনো কোনো টমেটো পেস্ট তৈরীর কারখানা নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, প্রয়োজনীয় টমেটো পেস্ট কারখানা তৈরীর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। আমরাই প্রথম দেশে টমেটো পেস্ট কারখানা স্থাপন করতে যাচ্ছি। মাঝারি আকারের একটি টমেটো পেস্ট স্থাপনে প্রায় আট কোটি টাকা দরকার হবে। সারা দেশে এরকমের ২০টি কারখানা স্থাপন হবে।

এ উদ্যোক্তা জানান, কারখানা স্থাপনের জন্য ইতোমধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের এক্যুইটি এন্ড অন্ট্র্যাপ্র্যানারশীপ ফান্ডের সার্কুলারে টমেটো পেস্ট নামক খাতটিকে অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে। সোনালী, বাংলাদেশ কৃষি এবং রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক গুলোকে টমেটো পেস্ট কারখানা স্থাপনে ঋণ দেয়ার জন্য অনুরোধ জানানো হয়। নতুন এবং রপ্তানিমূখী শিল্প হওয়ায় ব্যাংকের পক্ষ থেকেও  অর্থায়নের আশ্বাস মিলছে।

সংশ্লিষ্টরা জানান, অতি প্রয়োজনীয়, দামী এবং পুষ্টিকর কিছু ফসল, খাদ্য এবং পণ্য উৎপাদনে এ সংগঠনের পক্ষ থেকে কৃষক এবং উদ্যোক্তাদেরকে বিভিন্ন প্রকার সহযোগিতা এবং প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে।

সারাদেশে আগ্রহী, কর্মঠ, সৎ, যোগ্য এবং শিক্ষিতদের টমেটো পেস্ট কারখানা স্থাপনের উদ্যোগ নেয়ার আহ্বানও জানানো হয়েছে। আগ্রহী উদ্যোক্তারা সংগঠনটির (বাংলাদেশ অর্গানিক প্রোডাক্টস ম্যানুফ্যাকচারার্স এ্যসোসিয়েশন) প্রতিষ্ঠাতা সভাপতির সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন।