পুষ্টি ও স্বাস্থ্য বার্তা ডেস্ক, এগ্রিকেয়ার২৪.কম: পুষ্টিগুণে ভরপুর খেজুর। এতে রয়েছে ভিটামিন, আঁশ, ক্যালসিয়াম, আয়রন, ফসফরাস, পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম ও জিঙ্কসহ বেশ কয়েকটি পুষ্টি উপাদান। একজন সুস্থ মানুষের শরীরে আয়রনের চাহিদার প্রায় ১১ ভাগই পূরণ করতে পারে খেজুর।

খেজুরের পুষ্টিগুণ নিয়ে লিখছেন জাপান-বাংলাদেশ হাসপাতালের ইজি ডায়েট কনসালটেন্ট ব্যবস্থাপনা পরিচালক পুষ্টিবিদ আয়েশা সিদ্দিকা।

১। অনেক পুষ্টি উপাদানে ভরপুরঃ
কার্বোহাইড্রেট, ফাইবার, প্রোটিন,পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, কপার, আয়রন, ভিটামিন-বি৬ এ ভরপুর

২। রক্তের গ্লুকোজ নিয়ন্ত্রণ করেঃ
খেজুরে থাকা ফাইবার হজম ধীর করে, ফলে সারাদিন না খেয়ে থাকার পরে হঠাৎ পানাহার করলে রক্তের গ্লুকোজ বেড়ে যায় না। তাই ইফতারে প্রথমেই খেজুর গ্রহন করুন।

৩। রক্তশূন্যতা দূর করেঃ
খেজুরে বিদ্যমান আয়রন, রক্তশুন্যতা দূর করে। যাদের রক্তশুন্যতা রয়েছে তাদের প্রতিদিন খেজুর খাওয়া উচিত।

৪। নিয়মিত খেলে কোষ্টকাঠিন্য দূর হয়ঃ
টানা ২১ দিন একটি করে খেজুর খেলে বাওয়েল মুভমেন্ট উন্নত হয় বলে পরীক্ষিত।

৫। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়ঃ
ফ্লাভিনয়েড, ক্যারোটিনয়েড এবং ফেনোলিক এসিড এর মত তিনটি শক্তিশালী অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট বিদ্যমান যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় পাশাপাশি হৃদরোগ, ক্যান্সার এবং চোখের বিভিন্ন রোগ থেকে রক্ষা করে।

৬। ব্রেইনের স্বাস্থ্য উন্নত করেঃ
এতে থাকা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ব্রেইনের প্রদাহ কমায় এবং এতে বিদ্যমান পুষ্টি উপদান ব্রেইনের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করে।

৭। প্রসবে সাহায্য করে এবং নরমাল ডেলিভারির চান্স বাড়ায়:
৯১ জন প্রেগন্যান্ট মহিলার একটি পরিক্ষায় দেখা গেছে প্রেগন্যান্সির শেষ ৪ সপ্তাহ প্রতিদিন ৭০-৭৬ গ্রাম খেজুর খাওয়ায় তাদের প্রসব সংকোচন কমেছে এবং নরমাল ডেলিভারির চান্স অনেকাংশে বেড়েছে।

৮। চিনি বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করুন:
আর্টিফিশিয়াল চিনি ব্যবহার না করে তার পরিবর্তে খেজুর ব্যবহার করুন। তবে ডায়াবেটিস রোগীর খাবারে পরিমানমত ব্যবহার করুন।

৯। হাড়ের জন্য উপকারী:
খেজুরে থাকা পটাসিয়াম, ফসফরাস, ম্যাগনেসিয়াম, ক্যালসিয়াম হাড়ের স্বাস্থ্যের উন্নতি করে।

১০। খুব সহজে পথ্যে যোগ করা যায়: খেজুর মিল্কশেক, বেকিং, চিনির পরিবর্তে, সালাদে, ওটসে, কাস্টার্ডে ব্যবহার করে বিভিন্ন আইটেম তৈরি করা যায়।

খেজুরের পুষ্টিগুণ নিয়ে লিখছেন জাপান-বাংলাদেশ হাসপাতালের ইজি ডায়েট কনসালটেন্ট ব্যবস্থাপনা পরিচালক পুষ্টিবিদ আয়েশা সিদ্দিকা। লেখাটি সংগ্রহ করা হয়েছে Nutritionist Aysha Siddika পেজ থেকে।

 

এগ্রিকেয়ার/এমএইচ