ফসল ডেস্ক, এগ্রিকেয়ার২৪.কম: মাটি উদ্ভিদের বৃদ্ধি এবং বিকাশের জন্য প্রধান উপাদান। একটি মজবুত পদ্ধতিতে মৃত্তিকা গঠন এবং উর্বরতার ব্যবস্থাপনা জৈব চাষের জন্য আবশ্যক।

জৈব চাষের আওতায়, মাটির উর্বরতার জন্য উপযুক্ত ফসল চক্র এবং জৈব সার ও জৈব সার প্রয়োগের পদ্ধতি গ্রহণ করা উচিত। আসুন জেনে নিই জৈব সার এর উপকারিতা :-

১. উদ্ভিদকে পুষ্টি এবং গৌণ উপাদান সরবরাহ করে।
২. পুষ্টি উদ্ভিদের শিকড়ে উপলব্ধ হয় মিশ্রসারের সঙ্গে ধীরে ধীরে। অতএব, পুষ্টির অন্য তরলের মধ্যে মিশে যাবার সম্ভাবনা কমে যায়।
৩. মাটির গঠন, জল ধারণ ক্ষমতা উন্নত করে এবং মাটির ঘনত্ব কমিয়ে দেয়।
৪. মাটি বাফার ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
৫. অ্যাসিড মাটিকে অ্যালুমিনিয়াম ও ফেরিক বিষাক্ততা থেকে মুক্ত করে।
৬. কার্বন ডাই অক্সাইড পচনের সময় নির্গত হয় যা কার্বন ডাই অক্সাইড সার হিসাবে ব্যবহৃত হয়।
৭. এটা হরমোনের মতো বৃদ্ধি সহায়ক পদার্থ হিসাবে ব্যবহৃত হয়।
৮. মাটির জীবাণুর খাদ্য উৎস হিসেবে এবং জীবাণুর কার্যকলাপ বজায় রাখতে সাহায্য করে।
৯. মাটি জৈব, হিউমিক সংক্রান্ত বিষয়বস্তু এবং সামগ্রিক উর্বরতা বৃদ্ধি করে।
১০. উদ্ভিদের শিকড়ের গভীরে অনুপ্রবেশ ঘটায়।

ক্যাটায়ন বিনিময় ক্যাপাসিটি (সিইসি), যা পুষ্টির প্রাপ্যতা বৃদ্ধি করে এবং তরলের মাধ্যমে পুষ্টির বেরিয়ে যাওয়া রোধ করে।
উদ্ভিদের পরজীবী নেমাটোড এবং ছত্রাক মাটিতে ভারসাম্য নিয়ন্ত্রণ করে মাটিতে অণুজীবের ভারসাম্য পরিবর্তন করে।
সামগ্রিক মাটির সমষ্টিগত স্থায়িত্ব, যা মাটিকে সর্বোত্তম পর্যায়ে কাজ করতে সাহায্য করে এবং সর্বোত্তম ফলন পেতে সাহায্য করে।

জেনে নিন জৈব সারের উপকারিতা শিরোনামে সংবাদের তথ্য পশ্চিম বাংলা মৃত্তিকা গবেষণা কেন্দ্র থেকে নেওয়া হয়েছে।

 

এগ্রিকেয়ার/এমএইচ