ফসল ডেস্ক, এগ্রিকেয়ার২৪.কম: উষ্ণ ও আর্দ্র আবহাওয়া এবং প্রচুর সূর্যালোক থাকে এমন জমি ঝিঙ্গা চাষের জন্য ভালো। জলাবদ্ধতা নেই এবং উচ্চ জৈব পদার্থ সমৃদ্ধ দোঁআশ মাটিতে ভালো জন্মে। অনেকেই ঝিঙ্গা চাষ করে সফলতা পান না সামান্য কিছু ভুলের কারণে। তাই জেনে নিন ঝিঙ্গা চাষ পদ্ধতি ও সার প্রয়োগমাত্রা।

ফেব্রুয়ারি থেকে মার্চ মাস পর্যন্ত বীজ বপনের উপযুক্ত সময়। টানা ৪-৫ মাসের কাছাকাছি ফল দিয়ে থাকে। বাংলাদেশে বারি ঝিঙ্গা-১ বেশি চাষ হয়। হেক্টর প্রতি ৩-৪ কেজি বা শতাংশ প্রতি ১২-১৫ গ্রাম বীজের প্রয়োজন হয়।

জমি নির্বাচন ভালো না হলে ফলনে থাকে শঙ্কা। তাই জমি নির্বাচনে অধিক গুরুত্ব দিতে হবে। একই গাছের শিকড় বৃদ্ধির জন্য জমি এবং গর্ত উত্তমরুপে তৈরি করতে হয়। এ জন্য জমিকে প্রথমে ভাল ভাবে চাষ ও মই দিয়ে এমনভাবে তৈরি করতে হবে যেন জমিতে কোন বড় ঢিলা এবং আগাছা না থাকে।

আরোও পড়ুন: যেভাবে বেগুন চাষে শতভাগ সফলতা আসে

ঝিঙ্গা চাষের জন্য বেড তৈরি সবচেয়ে বড় একটি বিষয়। প্রতিটি বেডের উচ্চতা হবে ১৫-২০ সেমি। বেডের প্রস্থ হবে ১.২ মিটার এবং লম্বা জমির দৈঘ্য অনুসারে সুবিধামত নিতে হবে। এভাবে পরপর বেড তৈরি করতে হবে। এরূপ পাশাপাশি দুইটি বেডের মাঝখানে ৬০ সেমি ব্যাসের সেচ ও নিকাশ নালা থাকবে এবং ফসল পরিচর্যার সুবিধার্থে প্রতি দুবেড পর পর ৩০ সেমি প্রশস্ত নালা থাকবে।

মাদা তৈরি ও চারা রোপণঃ মাদার আকার হবে ব্যাস ৫০ সেমি, গভীর ৫০ সেমি এবং তলদেশ ৫০ সেমি। ৬০ সেমি প্রশস্ত সেচ ও নিকাশ নালা সংলগ্ন উভয় বেডের কিনারা হইতে ৬০ সেমি বাদ দিয়ে মাদার কেন্দ্র ধরে ২ মিটার অন্তর অন্তর এক সারিতে মাদা তৈরি করতে হবে। প্রতি বেডে এক সারিতে ১৬-১৭ দিন বয়সের চারা লাগাতে হবে।

ঝিঙ্গায় সেঁচ দেওয়ার তেমন প্রয়োজন পড়ে না। একান্ত শুকনো মৌসুমে ৬-৭ দিন পর পর সেঁচ দেওয়া যেতে পারে।

জেনে নিন ঝিঙ্গা চাষ পদ্ধতি ও সার প্রয়োগমাত্রা শিরোনামে সংবাদের তথ্য কৃষি তথ্য সার্ভিস থেকে নেওয়া হয়েছে।

এগ্রিকেয়ার/এমএইচ