ফসল ডেস্ক, এগ্রিকেয়ার২৪.কম: বাংলাদেশে রবি মৌসুমে তথা শীতকালে সবচেয়ে বেশি ফসলের চাষাবাদ হয়। নভেম্বর থেকে রবি মৌসুম শুরু হয়। কৃষকরা ফসলের উচ্চফলনশীল জাত নির্বাচন এবং বীজ সংগ্রহ নিয়ে সমস্যায় পড়ে। তাই জেনে নিন শীতকালের ২১টি ফসলের উচ্চফলনশীল জাত।
প্রায়ই দেখা যায় না জেনে খারাপ জাতের বীজ দিয়ে চাষাবাদ করে কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এখানে রবি মৌসুমে শীতকালের ২১টি ফসলের উচ্চফলনশীল জাত চাষাবাদের জন্য বীজের নাম, ফলন ও বীজ প্রাপ্তির স্থান উল্লেখ করা হলো:
ফুলকপির জাত: আগাম- কার্তিকা, রুপা, অঘ্রানী হোয়াইট, ব্যারন, রোকুইন। মধ্যসময়ে- পোষালী, রোবল এক্স, সুপ্রিম্যাক্স, রাক্ষসী। নাবি- মাঘি, রোবল, রাক্ষসী ও বেনারসি।
বাঁধাকপির জাত: আগাম জাত-কেকেক্রস। মধ্যম- এটলাস৭০, টোকিও প্রাইড, গ্রিন এক্সপ্রেস, প্রভাতি। নাবিজাত- এটলাস৭০, লিও ৮০, সেভয়, রুবিবল, ড্রাম- হেড ও অগ্রদূত।
আরোও পড়ুন: জেনে নিন সারাবছর জমিতে যেসব ফসল চাষ করবেন
টমেটোর জাত : আগামজাত – পাথর কুচি, রুবি পুষা, আর্লি ডোয়ার্ফ, পবা আর্লি। নাবিজাত- রতন, মানিক, রোমা, বাহার, সানমর্জিনো, মারগ্লোব, অপূর্ব ও লালিমা। বারিহাইব্রিড টমেটো ৫ (৯৫ টন/হেক্টর), বারিহাইব্রিড টমেটো, ৬(৯০ টন/হেক্টর), ও বারিটমেটো ১৪(৮৫ টন/হেক্টর)।
পালংশাকের জাত : কপি পালং ও পুষা জয়তী।
বেগুনের জাত : ইসলামপুরী, তল্লা, কেজি, উত্তরা, খটখটিয়া, লাফফা, কাজলা ও নয়নতারা।
মুলার জাত : আগামজাত- তাসাকীসান, লালবম্বে, পিংকি, এভারেস্ট। নাবিজাত- মিনু, আর্লি, মিয়াসিগে, দ্রুতি ও বারিমুলা ৪।
গাজরের জাত : রয়েলক্রস, কোরেলক্রস, কিনকো, সানটিনে, রয়েল ও স্কার লেট নান্টেস।
ব্রোকলির জাত : ক্রসেজর, গ্রিন ডিউক, ক্যাপ কুইন ও জুপিটার।
আরোও পড়ুন: ভাদ্র মাসে চাষ করতে পারেন যেসব শাক-সবজি
ওলকপির জাত : আর্লি হোয়াইট ভিয়েনা, পার্পল ভিয়েনা ও অপটিমা।
লাউয়ের জাত : ক্ষেত লাউ, হাজারি ও বারি লাউ-১।
শিমের জাত : কার্তিকা, সীতাকু-ু, বাটা, নলডুগ, বারিশিম-১, বারিশিম৪ ইপসা শিম-১ ও ইপসা শিম ২।
গোল আলুর জাত : মুন্টা, ডায়মন্ড, কার্ডিলাল, বারিটিপিএস-১, বারিটিপিএস-২, বারিআলু২৭, আলু২৮, বারিআলু ২৯।
মটরশুঁটির জাত : আর্কেল, বলভেলী, গ্রিনফিস্ট ও বারিমটরশুঁটি-১।
লেটুসের জাত : কিংক্রাউন, গ্রেট লেইক ও বারি লেটুস-১(২৯ টন/হেক্টর)।
মিষ্টিআলুর জাত : বারি মিষ্টিআলু-৮ (৪৫ টন/হেক্টর), বারি মিষ্টিআলু-৯ (৪৫ টন/হেক্টর), ও কমলা সুন্দরী।
পেঁয়াজের জাত : তাহের পুরী, ফরিদ পুরী, বারি পেঁয়াজ-১ ও বারি পেঁয়াজ-৪।
মিষ্টি কুমড়ার জাত : বারমাসী, লার্জরেড, বিক্রমপুরী, মিষ্টি কুমড়া-১ ও বারি মিষ্টি কুমড়া-২।
মরিচের জাত : বাইন, বগুড়া, বালিজুরি, বারমাসী, সূর্যমুখী, চৌরা ও বারি মরিচ-১।
চীনা কপির জাত : বারি বাটিশাক ও চীনাশাক-১।
শসার জাত : ভুঁয়ে শসা ও বারমাসী।
ঝুপড়ি শিমের জাত : কনটেন্ডার, কেন্টাকিম পার্বতী।
বীজের প্রাপ্তিস্থান : উক্ত ফসলের জাত ছাড়াও বিভিন্ন হাইব্রিড জাতের বীজ বাজারে পাওয়া যায়। বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন, কৃষিবিদ সিড, ইস্টওয়েস্ট সিড কোং, ব্র্যাক, প্রশিকাসহ বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠান বীজ উৎপাদন করে। ঢাকার সিদ্দিক বাজার বীজের সবচেয়ে বড় পাইকারি বাজার।
বীজের প্রতিষ্ঠান দোকান থেকে লেভেল চিহ্নিত করে ওই বীজ ক্রয় করা যেতে পারে। তবে হাট-বাজার থেকে খোলা অজানা বীজ সংগ্রহ করা ঠিক নয়। উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তাদের সহযোগিতায় এসব বীজ সংগ্রহ করতে পারবেন।
জেনে নিন শীতকালের ২১টি ফসলের উচ্চফলনশীল জাত সংবোদের তথ্য বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য কৃষি বাতায়ন থেকে নেওয়া হয়েছে।
এগ্রিকেয়ার/এমএইচ