টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে

ডেস্ক প্রতিবেদন, এগ্রিকেয়ার২৪.কম: সরকার টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সুসমন্বিত কর্মপন্থা বাস্তবায়ন করছে; কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক এ তথ্য তুলে ধরেছেন।

বঙ্গবন্ধুর রক্ত ও আদর্শের সার্থক উত্তরসূরি তারই সুযোগ্য কন্যা বিশ্বনন্দিত রাষ্ট্রনায়ক মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা বলে মন্তব্য করেন তিনি।



কৃষিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর দূরদৃষ্টিসম্পন্ন নেতৃত্বে বাংলাদেশ ইতোমধ্যে নিম্ন-মধ্যম আয়ের দেশের সুখ্যাতি লাভ করেছে এবং উন্নয়নের সুফল থেকে যাতে কেউই বঞ্চিত না হয় সে-লক্ষ্যে সরকার টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের সুসমন্বিত কর্মপন্থা বাস্তবায়ন করে চলছে।

আজ বুধবার (১৩ নভেম্বর, ২০১৯) রাজধানীর বিয়াম ফাউন্ডেশনে বাংলাদেশ এ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস এসোসিয়েশন আয়োজিত “সরকারের নির্বাচনী ইশতেহার-২০১৮: আমাদের করণীয়” শীর্ষক আলোচনা সভায় কৃষিমন্ত্রী মো: আব্দুর রাজ্জাক এসব কথা বলেন।

 তিনি বলেন, দেশকে একটি কাঙ্খিত পর্যায় নিয়ে যেতে ২০১৮ সালে নির্বাচনে ইশতেহারে জাতির কাছে অঙ্গীকার। দেশের দারিদ্রের হার ২০২৩ সালে হবে ১২ শতাংশ এবং ২০৩০ সালে হবে ৪ শতাংশ।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, নির্বাচনী ইশতেহার এর একুশটি অঙ্গিকারের মধ্যে প্রথম অঙ্গিকার ছিল আমার গ্রাম-আমার শহর: প্রতিটি গ্রামে আধুনিক নগর সুবিধা সম্প্রসারণ। এরপরে তারুণ্যের শক্তি-বাংলাদেশের সমৃদ্ধি: তরুণ-যুবসমাজকে দক্ষ জনশক্তিতে রূপান্তর ও কর্মসংস্থানের নিশ্চয়তা।

আর দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ। সরকারের বহুমাত্রিক উদ্যোগের ফলে বাংলাদেশের শ্রেষ্ঠ সম্ভাবনাময় সম্পদ তরুণ-যুবসমাজের মেধা, সৃজনশীলতা, মনন ও ধীশক্তির উৎপাদনশীল কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।

কৃষিমন্ত্রী আরও বলেন, স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী পালনকালে সুখী সমৃদ্ধ ভবিষ্যৎ বিনির্মাণে রূপকল্প-২০২১ সফলভাবে সম্পন্ন করা জাতির কাছে সরকারের অঙ্গীকার।

ইতোমধ্যে এসডিজি’র লক্ষ্যমাত্রা নির্দিষ্ট সময়ের পূর্বেই অর্জনের মাধ্যমে দেশ এখন ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত, মানুষের আয় ও আয়ু দুটোই বেড়েছে এবং ছেলেমেয়ে সবার জন্য শিক্ষা ও সুস্বাস্থ্যের নিশ্চয়তার বিধান করা হয়েছে।

ঘরে ঘরে এখন বিদ্যুতের আলো, দুর্ভিক্ষ ও মঙ্গা নাই, গ্রামে গ্রামে পাকা রাস্তাঘাট, ডিজিটাল যোগাযোগের ফলে মানুষ বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে।

বঙ্গবন্ধুর শেখ রেখে যাওয়া স্বল্পোন্নত দেশ থেকে বর্তমানে উন্নীত হয়ে উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা লাভ করেছে এবং ২০৪১ সালের মধ্যে একটি উন্নত দেশের কাতারে শামিল হওয়ার পথে ধাবমান।

কৃষি ও শিল্প উৎপাদন বৃদ্ধি, খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন, ক্ষুধা-দারিদ্র্য নিরসন, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতের উন্নয়ন, মাথাপিছু আয় ও বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বৃদ্ধিসহ প্রতিটি ক্ষেত্রে উন্নয়নের সফলতা পেয়েছে।

বিশ্ব সমাজে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে মাথা তুলে দাঁড়ায় বাংলাদেশ। ২০২১সালের আগেই মধ্য আয়ের দেশে উন্নীত হওয়া, ২০৩০ সালের মধ্যে ‘টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি)অর্জন, ২০৪১ সাল নাগাদ উন্নত দেশের মর্যাদা লাভ এবং সর্বোপরি ‘ব-দ্বীপ পরিকল্পনা’ তথা ডেল্টা প্ল্যান-২১০০ বাস্তবায়নের পথে অগ্রসর হওয়া ছারা জাতির সামনে বিকল্প কিছু আর হতে পারে না।

দেশ আজ  মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় শান্তি,গণতন্ত্র,উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির গতিপথে সুপ্রতিষ্ঠিত হয়েছে বলে জানান কৃষি মন্ত্রী।

 দেশরত্ন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে পরিচালিত সরকার জনকল্যাণমুখী ও সুসমন্বিত কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে বাংলাদেশকে একটি সুখী, সমৃদ্ধ, সমতা ও ন্যায়বিচারভিত্তিক গণতান্ত্রিক দেশ বিনির্মাণের পথে জাতিকে অগ্রসরমান রেখেছে।

জাতির এই অপ্রতিরোধ্য অগ্রযাত্রা অব্যাহত রয়েছে  বর্তমান সরকারের ধারাবাহিকতার ফলে। আমাদের দ্বারা কোন কিছু করা অসম্ভব নয়। ইশতেহার বাস্তবায়নে সকলের আন্তরিকতা ও সততার সাথে কাজ করার আহবান জানান তিনি।

উন্মুক্ত আলোচনায় সিনিয়র সচিব, সচিববৃন্দসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা অংশগ্রহণ করেন। উন্মুক্ত আলোচনায় বক্তারা দুর্ণীতি বিরোধী অঙ্গিকার ব্যক্ত করেন এবং ২০৪১ সালের উন্নত বাংলাদেশ বির্নিমানে তাদের করণীয় উল্লেখ করেন।

স্থানীয় সরকার বিভাগ এর সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ এর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব সাজ্জাদুল হাসান ও পিকেএসএফ এর চেয়ারম্যান ড. কাজী খলীকুজ্জামান আহমদ । অনুষ্ঠানে মূল বিষয় উপস্থাপন করেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব আমিনুল ইসলাম খান।

টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সরকার সুসমন্বিত কর্মপন্থা বাস্তবায়ন করছে; কৃষিমন্ত্রী সংবাদটির তথ্য কৃষিমন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন জানিয়েছেন।

আরও পড়ুন: ভেজাল সার প্রতিরোধে নিয়মিত বাজার মনিটরিং করতে হবে, গাফিলতি যেন না হয়