ফিরোজ আমিন সরকার, ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি, এগ্রিকেয়ার২৪.কম: আধুনিক উচ্চ ফলন শীল ধানসহ বহু মাত্রিক ফসল চাষের প্রতিযোগীতায় টিকতে না পেরে সুস্বাদু ও পুষ্টিসমৃদ্ধ দানাদার খাদ্য কাউনের চাষ বিলুপ্তের পথে। তবে ঠাকুরগাঁওয়ের বিভিন্ন এলাকায় সাথী ফসল হিসেবে কাউনের চাষ হচ্ছে।

গরিবের খাদ্য বলে পরিচিত খরাসহিঞ্চ ও রোগবালাই মুক্ত এই ফসল প্রায় ৩৫ বছর আগে ঠাকুরগাঁওসহ উত্তরাঞ্চলের জেলাগুলোতে ব্যাপক আবাদ হতো। এই ফসল উঠতো জৈষ্ঠ্য ও আষাঢ় মাসে। সময়ের পরিবর্তনে কৃষিপ্রযুক্তির উৎকর্ষ সাধনে উচ্চ ফলন শীল ও লাভজনক ফসল চাষে ঝুঁকে পড়েছে কৃষক। এ কারণে কাউন চাষে আগ্রহ নেই চাষিদের।

সদর উপজেলার উত্তর হরিহরপুর গ্রামের কৃষক ইসহাক আলী বলেন, কৃষি প্রযুক্তির উন্নতির হওয়ায় তিনি কাউন চাষ ছেড়ে দিয়েছেন। কাউনের বদলে ভুট্টা, বোরো ধান সহ সবজি চাষ করছেন তিনি। রায়পুর গ্রামের প্রতাব চন্দ্র রায় বলেন, তাদের এলাকায় অনেকে সাথী ফসল হিসেবে কাউন চাষ করছেন।

তিনি বলেন, এক সময় এলাকার সবাই কাউনের চাষ করতো। সেচ ব্যবস্থার উন্নতির ফলে কৃষক এখন কাউন চাষ  লাভ জনক না হওয়ায় তারা উচ্চ ফলন শীল ধান ও সবজি চাষ করছে।

সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আানিছুর রহমান এগ্রিকেয়ার২৪.কম কে বলেন, কাউন চাষে জমির উর্বরতা শক্তি বৃদ্ধি পায়। কাউনের চালের ভাত, পায়েস, পিঠা ও নাড়– খেতে অনেকে সু-স্বাদু। বর্তমানে জেলার হাট-বাজারে প্রতিকেজি কাউনের চাল বিক্রি হচেছ ৯০ থেকে১শ টাকা দরে। ভোজন বিলাসীরা এই চাল কিনছে পায়েস, পিঠা ও নাড়ু তৈরির জন্য।