পুষ্টি ও স্বাস্থ্য বার্তা ডেস্ক,এগ্রিকেয়ার২৪.কম  দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে সবচেয়ে পরিচিত ফলের অন্যতম হলো ডাব। বাংলাদেশ এর সামুদ্রিক অঞ্চলে ব্যাপক পরিমাণে  ডাব বা নারিকেলের গাছ জন্মায়।

লো ক্যালোরি, প্রাকৃতিক এনজাইম ও খনিজ উপাদান সমৃদ্ধ ডাবের পানি এক অলৌকিক পানীয়। গরমের দিনে এ পানি তাপপ্রবাহের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে ও শরীরে তাৎক্ষণিক শক্তি যোগায়। এতে রয়েছে পটাশিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, ভিটামিন সি, ক্যালসিয়াম এর মতো গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টিকর উপাদান।

এতে পানির পরিমাণ প্রায় ৯৪ শতাংশ। তাই ত্বকের সৌন্দর্য রক্ষায়, পুরো দেহের শিরা-উপশিরায় সঠিকভাবে রক্ত চলতে সাহায্য করে। কারণ, পানি বেশি পান করলে কিডনির কাজ করতে সুবিধা হয়, দেহে অক্সিজেন সমৃদ্ধ রক্তের সরবরাহ বাড়ে, ত্বকসহ প্রতিটি অঙ্গে পৌঁছায় বিশুদ্ধ রক্ত। ফলে পুরো দেহ হয়ে ওঠে সতেজ ও শক্তিশালী।

পাঁচ মাসের কম বয়সী ডাবের পানিতে কোনো পুষ্টি উপাদান থাকে না। ডাবের পানির এত পুষ্টি উপাদান থাকলেও এতে চিনির পরিমাণ কিন্তু অন্য যেকোনো ফলের রস বা কৃত্রিম পানীয়ের তুলনায় অনেক কম থাকে, প্রায় নেই বললেই চলে।

তবে ডায়াবেটিসের রোগীরা ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রেখে ডাবের পানি খাবেন। কিডনিতে পাথর হয়েছে বা ডায়ালাইসিস চলছে, এ ধরনের রোগীরা এই ফল খাবেন না। কারণ, এতে রয়েছে উচ্চমাত্রার পটাশিয়াম, যা কিডনি রোগীদের জন্য ক্ষতিকর।