নিজস্ব প্রতিবেদক, এগ্রিকেয়ার২৪.কম: সারাদেশে সর্বাত্মক লকডাউনে কোটি কোটি টাকার লোকসান হচ্ছে পোল্ট্রি খাতে। উৎপাদিত পণ্যের দাম পাচ্ছেন না খামারি ও হ্যাচারি মালিকরা। করোনা সংক্রমণে পরিবহন সেবা বন্ধ থাকায় হাসের ডিমের দামে বাচ্চা বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন।

সিরাজগঞ্জ জেলার তাড়াশ উপজেলার দুই শতাধিক হারিকেন বাতির হ্যাচারি মালিকরা উৎপাদিত হাঁসের বাচ্চা নিয়ে বিপাকে পড়েছেন। বাচ্চার ক্রেতা না থাকায় লোকসান গুণছেন তারা।

খামারিরা বলছেন, তাড়াশ উপজেলায় দুই শতাধিক হাঁসের বাচ্চা উৎপাদন হ্যাচারি রয়েছে। লকডাউনের আগে প্রতিটি হাঁসের বাচ্চা ২৬ টাকা দরে বিক্রি হলেও বর্তমানে ১২ টাকায় বিক্রি হচ্ছে বাচ্চা। যেখানে একটি হাঁসের ডিম কিনতে খরচ হচ্ছে ১২ টাকা বলেও জানান হ্যাচারি মালিকরা।

উপজেলার দুই হ্যাচারি মালিক জানান, হারিকেন বাতির তাপে ডিম ফুটানো হয়। এতে সময় লাগে  ২৮ থেকে ৩০ দিনের মতো। যত্নআত্মি করতে হয়। আনুষাঙ্গিক খরচ রয়েছে। ডিমের দাম তো আছেই। লকডেউনের কারনে বর্তমানে প্রতিটি বাচ্চা মাত্র ১২ টাকায় বিক্রি করতে হচ্ছে। ফলে লোকসান গুনতে হচ্ছে । আরেক ব্যবসায়ী বলেন,  কুষ্টিয়া-যশোর হয়ে হারিকেন বাতির উত্তাপে ফুটানো হাঁসের বাচ্চা পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতেও যায়। কিন্তু যানবাহন চলাচল না করায় বাচ্চা বিক্রি করা যাচ্ছেনা। পরিস্থিতি এমন যে, হ্যাচারি ব্যবসায়ীদের পথে বসার মতো অবস্থা।

জানতে চাইলে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. সোহেল আরম বলেন, হাঁসের ডিম ফুটে বের হওয়া বাচ্চাগুলো আপাতত হ্যাচারি ব্যবসায়ীদের কাছে রেখে লকডাউন খোলার পর বিক্রি করতে হবে। করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত হ্যাচারিতে নতুন করে ডিম ফুটানো যাবেনা। এই সময়ের মধ্যে ভালো করে যত্ন করতে হবে।

এগ্রিকেয়ার/এমএইচ