পোল্ট্রি ডেস্ক, এগ্রিকেয়ার২৪.কম: ডিম না দেওয়া ও মাংসের চাহিদা না থাকায় শুধু জার্মানিতেই মুরগির সাড়ে চার কোটি পুরুষ বাচ্চা হত্যা করা হয় বলে জানিয়েছে দেশটির কৃষি বিভাগ।

অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য মুরগির পুরুষ ছানার জন্ম রোধ করতে জার্মান কৃষকরা এ প্রযুক্তির ব্যবহার করে। ভ্রুণেই লিঙ্গ শনাক্ত করে এসব বাচ্চাকে হত্যা করা হয়৷ প্রতি বছর শুধু জার্মানিতেই মুরগির প্রায় সাড়ে চার কোটি পুরুষ বাচ্চাকে হত্যা করা হয়৷ প্রাণী সুরক্ষা কর্মকর্তারা একে ‘চিক শ্রেডিং’ বা মুরগির ছানা জবাই বলে অভিহিত করেছেন৷

গণহারে মুরগির পুরুষ বাচ্চা হত্যা নিষিদ্ধ করার প্রস্তাব দিয়েছিলেন জার্মানির কৃষিমন্ত্রী ইউলিয়া ক্ল্যোকনার৷ বাচ্চা মোরগ হত্যা করাকে ‘অমানবিক’ ও গ্রহণযোগ্য নয় বলে তিনি মন্তব্য করেন৷ কৃষকদের অর্থনৈতিক স্বার্থে প্রাণী সুরক্ষাকে গুরুত্ব না দেয়ার বিষয়ে ২০১৯ সালে জার্মান প্রশাসনিক আদালত এক রায়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে৷

অবশেষে মুরগির বাচ্চা নিধনে আইন পাস করা হয়েছে। পুরুষ মুরগি ডিম দেয় না, মাংসের জন্যও সেরা পছন্দ নয়, ফলে অর্থনৈতিকভাবে লাভজনক না হওয়ায় পুরুষ বাচ্চাগুলোকে জন্মের পরপরই মেরে ফেলতো খামারিরা।

গত বৃহস্পতিবার জার্মান সংসদ বুন্ডেসটাগ ঘোষণা করেছে, জার্মানিতে গণহারে মুরগির পুরুষ বাচ্চা মেরে ফেলা নিষিদ্ধ আইন আগামী ২০২২ সালের ১ জানুয়ারি থেকে কার্যকর হবে৷ মুরগি চাষ প্রক্রিয়া অমানবিক, অনৈতিক বলে দীর্ঘদিন ধরেই নানা সমালোচনা হচ্ছিল৷

ডেনিয়েল কোরেয়া ও মেলিসা নারানিয়ো কলম্বিয়ার মেদেয়িনের সিইএস বিশ্ববিদ্যালয়ে ভেটেরিনারি মেডিসিনে পড়েছেন৷ তারা পশুর মরদেহ থেকে সার তৈরির সম্ভাবনা নিয়ে থিসিস করেছেন৷ সেটাকেই তারা পরবর্তীতে বাস্তব জীবনে প্রয়োগ করতে ২০১৭ সালে ‘প্লেইয়া’ নামের এক কোম্পানি গঠন করেন৷ তারা পোষা প্রাণীর মরদেহ থেকে সার তৈরি করছে৷ সেই সারে নতুন গাছও জন্মাচ্ছে৷ বিশ্বের গুটি কয়েক কোম্পানি এই কাজ করছে৷

এগ্রিকেয়ার/এমএইচ