স্বাস্থ্য ডেস্ক, এগ্রিকেয়ার২৪.কম: চপ, পেঁয়াজু, বেগুনি বেসন তৈরিতে বেসনের জুড়ি নেই। তবে শুধু খাবারই নয়, রূপচর্চায় দারুণ কাজ করে বেসন। আসুন জেনে নিই তৈলাক্ত ত্বকে বেসনের উপকারিতা ও ব্যবহার পদ্ধতি।

শুষ্ক, তৈলাক্ত বা মিশ্র যেকোন ত্বকের জন্য কার্যকর বেসন। বেসনের সঙ্গে কাঁচাদুধ, লেবু বা হলুদ এসব মিশিয়ে নিলেই বেসনের কার্যকারিতা কয়েক গুণ বেড়ে যায়। ত্বক লাবণ্যময়ী রাখার ক্ষেত্রে বেসনের অনেক যাদুকরী ভূমিকা আছে যা জানলে অবাক হবেন।

উজ্জ্বল ত্বকের জন্য:

দু চামচ বেসন, এক চামচ লেবুর রস, এক চামচ মিল্ক ক্রিম ভালো করে মিশিয়ে নিন। এবার তা মুখে ভালোভাবে লাগান। মুখ ধোওয়ার পর তুলাতে গোলাপ জল নিয়ে ভালো করে মুখের চারপাশে লাগিয়ে নিন। এই প্যাক মুখে লাগিয়ে ১৫ মিনিট রাখবেন। তারপর হালকা গরম পানিতে মুখ ধুয়ে নিন। টানা ৪ দিন করলেই উপকার পাবেন।

ট্যান দূরীকরণে:

বেসন, পাকা পেঁপে আর কমলালেবুর রস একসঙ্গে মিশিয়ে প্যাক বানিয়ে নিন। এবার মুখ আর ঘাড়ে ভালো করে লাগিয়ে নিয়ে অন্তত ৩০ মিনিট রেখে দিন। শুকিয়ে গেলে ধুয়ে ফেলুন।

ত্বকের পুষ্টি:

কোনও শারীরিক অসুস্থতার পর বা অন্যান্য কারণে অনেকের ত্বক শুকনো হয়ে যায়, মলীন হয়ে যায়। অর্থাৎ ত্বক তার স্বাভাবিক ঔজ্বল্য হারিয়ে যায়। কিছু ওষুধের প্রভাবেও কিন্তু এমনটা হতে পারে। সেক্ষেত্রে দুধ, বেসন, আমন্ড গুঁড়ো আর লেবুর রস একসঙ্গে ভালো করে মিশিয়ে প্যাক বানিয়ে নিন। এবার তা মুখে লাগিয়ে অপেক্ষা করুন যতক্ষণ পর্যন্ত না তা শুকিয়ে যায়। নিয়মিত এই প্যাক ব্যবহার করতে পারলে খুবই ভালো। অনেক রকম উপকার পাবেন। সহজে চামড়া কুঁচকে যাবে না।

ফেসিয়াল হেয়ার রিমুভ করতে:

অনেকের মুখে অতিরিক্ত লোম থাকে। তারা সেক্ষেত্রে দুচামচ বেসনের সঙ্গে ডিমের সাদা অংশ, চিনি, কর্নফ্লাওয়ার ভালো করে মিশিয়ে মুখে লাগাতে পারেন। এবার তা শুকিয়ে এলে ভালো করে ধুয়ে নিন। এতেও কিন্তু ভালো উপকার পাবেন। মুখ যতক্ষণ পর্যন্ত না শুকোচ্ছে ততক্ষণ অপেক্ষা করুন। ভালো ফল পেতে এই ঘরোয়া টোটকাগুলো নিয়মিত মেনে চলুন।

এগ্রিকেয়ার/ এমএইচ