দক্ষিণাঞ্চলে ডাল ফসল চাষাবাদে

নাহিদ বিন রফিক (বরিশাল), এগ্রিকেয়ার২৪.কম: কিছু সমস্যা থাকলেও দক্ষিণাঞ্চলে ডাল ফসল চাষাবাদে অনুকূল পরিবেশ রয়েছে বলে জানিয়েছেন ডাল গবেষণা কেন্দ্রের পরিচালক রইছ উদ্দিন চৌধুরী।

আজ রোববর (২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২০) ‘ডাল ফসলে দক্ষিণাঞ্চলের সমস্যা এবং সম্ভাবনা’ শীর্ষক দিনব্যাপী এক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে রইছ উদ্দিন চৌধুরী এ তথ্য জানান।

বরিশালের রহমতপুরস্থ আরএআরএস সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় রইছ উদ্দিন চৌধুরী বলেন, আমিষের অভাব পূরণে ডাল ফসল অনন্য। সে সাথে মাটির স্বাস্থ্য রক্ষার জন্যও হিতকর।

দক্ষিণাঞ্চলে ডাল ফসল চাষাবাদে অনুকূল পরিবেশ রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, যেহেতু আমাদের চাহিদা মেটাতে প্রতি বছর তিন হাজার কোটি টাকারও বেশি ডালশস্য বিদেশ থেকে আমদানি করতে হচ্ছে। তাই এর ঘাটতি কমাতে এ অঞ্চলে মুগের পাশাপাশি অন্য ডাল ফসলের আবাদ বাড়ানো প্রয়োজন।

কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন আঞ্চলিক কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মুহাম্মদ সামসুল আলম। বিশেষ অতিথি ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের (ডিএই) অতিরিক্ত পরিচালক মো. আফতাব উদ্দিন এবং অষ্ট্রেলিয়ান আন্তর্জাতিক কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের ডেপুটি টিম লিডার এম.জি. নিয়োগী।

বারির প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. আলতাব হোসেন রাজার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ডিএই বরিশালের উপপরিচালক হরিদাস শিকারী, ঝালকাঠির জেলা প্রশিক্ষণ অফিসার মো. মনিরুল ইসলাম, পটুয়াখালীর জেলা প্রশিক্ষণ অফিসার মো. রফিকুল ইসলাম, বারির ভাসমান বেডে সবজি ও মসলা চাষ গবেষণা, সম্প্রসারণ ও জনপ্রিয়করণ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক ড. মো. মোস্তাফিজুর রহমান তালুকদার, প্রধান বেজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. ওমর আলী, পিএসও  ড. মো. সহিদুল ইসলাম খান প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে পাওয়ার পয়েন্টের মাধ্যমে বিভিন্ন ডাল ফসলের উন্নত জাত, চাষাবাদের অন্তরায় এবং সম্ভাবনা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। ডাল গবেষণা কেন্দ্র আয়োজিত এ কর্মশালায় কৃষকসহ কৃষি সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের অর্ধশতাধিক কর্মকর্তা অংশগ্রহণ করেন।

আরও পড়ুন: কৃষি কর্মকর্তাদের কৃষকের বাড়ি বাড়ি যেতে হবে; কৃষিমন্ত্রী