শীর্ষ চাল আমদানিকারক হতে

নিজস্ব প্রতিবেদক, এগ্রিকেয়ার২৪.কম: সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দর দিয়ে চাল গত দুই মাসে ভারত থেকে ১৯ হাজার ৪৮৯ টন চাল আমদানি করা হয়েছে। এসব চালের মধ্যে নাজির, মিনিকেট, স্বর্ণা, রত্না ও জামাইবাবু উল্লেখযোগ্য।

আমদানি সংশ্লিষ্টরা বলছেন, দেশে চালের দাম বাড়তি হওয়ার কারণে আমদানি বেড়েছে চার গুণ। বাজার নিয়ন্ত্রণে আমদানির অনুমতি দেয়ার পর থেকে এ বন্দর দিয়ে পণ্যটির আমদানি ঊর্ধ্বমুখী। বাজারে ভালো চাহিদা থাকায় ব্যবসায়ীরা বেশি পরিমাণেই চাল আমদানি করছেন।

ভোমরা বন্দর দিয়ে চাল আমদানি করে নওগাঁ জেলার মেসার্স সোনালী ট্রেডার্স। প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপক সুমন দে বলেন, চলতি অর্থবছরের শুরুতে ভোমরা স্থলবন্দর দিয়ে সপ্তাহে গড়ে ১০-১২ ট্রাক চাল আমদানি করেছি। এসব চালের মধ্যে রয়েছে চিকন নাজির, মিনিকেট এবং মোটাজাতের স্বর্ণা ও রত্না।

পড়তে পারেন: ১৫ টাকা কেজি মিলছে চাল

তিনি বলেন, আমদানীকৃত নাজির চাল দেশীয় বাজারে কেজিপ্রতি ৬৭ টাকা, মিনিকেট ৬২-৬৩ এবং মোটাজাতের চাল প্রতিকেজি ৪৬ টাকা দরে বিক্রি করছি। তবে গত অর্থবছরের তুলনায় চলতি অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে চাল আমদানি বেড়েছে। গত বছর এ সময়ে সপ্তাহে মাত্র চার-পাঁচ ট্রাক চাল আমদানি করেছিলাম।

ভোমরা শুল্ক স্টেশনের রাজস্ব বিভাগ থেকে জানা গেছে, চলতি অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে বন্দরটি দিয়ে ১৯ হাজার ৪৮৯ টন আমদানি হয়েছে, যা গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় চার গুণ বেশি। এর মধ্যে জুলাইয়ে ৮ হাজার ৩১৩ টন এবং আগস্টে ১১ হাজার ১৭৬ টন আমদানি করা হয়েছে। এসব চাল আমদানিতে ব্যয় হয়েছে ৭৭ কোটি ৫৯ লাখ টাকা।

পড়তে পারেন: আজ থেকে ১৮ টাকায় আটা, ৩০ টাকা কেজি মিলবে চাল

আমদানীকৃত চাল থেকে সরকারের রাজস্ব আদায় হয়েছে ৯ কোটি ৮৯ লাখ টাকা। গত অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে এ বন্দর দিয়ে চাল আমদানি হয়েছিল ৪ হাজার ৫০ টন। এসব চাল আমদানিতে ব্যয় হয়েছিল ১৪ কোটি ২৪ লাখ টাকা, যা থেকে সরকার রাজস্ব আদায় করা হয়েছে ২ কোটি ১৪ লাখ টাকা।

এদিকে সাতক্ষীরার সুলতানপুর বড়বাজারের পাইকারি চাল ব্যবসায়ী মো. জাহিদ হোসেন বলেন, ভোমরা স্থলবন্দর দিয়ে যে পরিমাণ চাল আমদানি হচ্ছে তার প্রায় পুরোটাই চলে যাচ্ছে উত্তরবঙ্গসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে। এ জেলায় চাহিদা থাকলেও আমদানীকৃত চালের সরবরাহ নেই।

পড়তে পারেন: কমেছে চাল তেল পেঁয়াজ ডিম-মুরগির দাম

ভোমরা শুল্ক স্টেশনের দায়িত্বরত কাস্টমসের বিভাগীয় সহকারী কমিশনার আমীর মামুন বলেন, চলতি অর্থবছর এ বন্দর দিয়ে লক্ষণীয় মাত্রায় চাল আমদানি বেড়েছে। চাল আমদানিতে গেল দুই মাসে প্রায় ১০ কোটি টাকার রাজস্ব আয় হয়েছে।

ভোমরা স্থলবন্দরের সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট ব্যবসায়ী অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি কাজী দিলওয়ার নওশাদ রাজু বলেন, সম্প্রতি চাল আমদানি বেড়েছে ভোমরা বন্দর দিয়ে। দেশের বিভিন্ন এলাকার আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান এ বন্দর ব্যবহার করে চাল আমদানি করছেন। মূলত দেশীয় বাজারে চাহিদা বেড়ে যাওয়ার কারণেই চালের আমদানি বাড়ছে।

এগ্রিকেয়ার/এমএইচ