দেশের কৃষিজাত পণ্য আমদানির

নিজস্ব প্রতিবেদক, এগ্রিকেয়ার২৪.কম: দেশের কৃষিজাত পণ্য আমদানি ও বেসরকারিভাবে বড় বিনিয়োগ করবে চীন বলে জানিয়েছন দেশটির রাষ্ট্রদূত। এক প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে দেশে ৩৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করা হবে।

সম্প্রতি কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক এর সাথে সাক্ষাতের সময়ে চীনের রাষ্ট্রদূত (ঝাং জুয়া) Zhang Zuo এমন তথ্য জানিয়েছেন। গত বৃহস্পতিবার (১৬ মে) কৃষিমন্ত্রীর দফতরে সাক্ষাত অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।



সাক্ষাত অনুষ্ঠানে কৃষিমন্ত্রী জানান, বাংলাদেশের উন্নয়নে অন্যতম সহযোগী চীন। আন্তর্জাতিক, কৃষি, বিনিয়োগ এবং শিল্প-বাণিজ্যে  চীনের সাথে বাংলাদেশের সম্পর্কের আরও উন্নয়ন চায় সরকার। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান চীনের সঙ্গে যে সম্পর্কের সূচনা করেছিলেন; তা আরও টেকসই করে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে চায় বাংলাদেশ।

দেশের অর্থনৈতিক অঞ্চল, অবকাঠামো উন্নয়ন, বিদ্যুৎ ও যোগাযোগসহ অনেক মেগা প্রকল্পে চীনের অংশগ্রহণ রয়েছে। চীন-বাংলাদেশ কৃষি প্রধান দেশ, দুই দেশের শিল্প সংস্কৃতিতে একটা মিল রয়েছে। কৃষি শিল্পের উন্নয়নে চিনের সহযোগিতা সব সময় কাম্য।

সরকারের দূরদর্শিতা ও সময়োপযোগী পদক্ষেপ দেশকে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ করতে সক্ষম হয়েছে। শুধু তাই নয়, বৈশ্বিক দারিদ্র্য বিমোচনেও বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক বিশ্বায়নের সুযোগ কাজে লাগিয়ে উন্নয়নের পথে এগিয়ে চলছে।

দেশটিতে শিল্পায়ন ও নগরায়নের প্রক্রিয়াও ধাপে ধাপে এগিয়ে যাচ্ছে। এছাড়া বাংলাদেশ স্বাস্থ্য শিক্ষাসহ সামাজিক ও অর্থনৈতিক দিক দিয়ে যে সাফল্য অর্জন করেছে তা সত্যিই প্রশংসার দাবিদার,বলেন রাষ্ট্রদূত।

দেশের কৃষিজাত পণ্য আমদানি ও বেসরকারিভাবে বড় বিনিয়োগ করবে চীন উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, বাংলাদেশের কৃষি উন্নয়নে সবসময় পাশে থাকবে চীন। কৃষি খাতে ৩৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের বিনিয়োগ করছে চীনের এক কোম্পানি, তারা এদেশে ৩টি কৃষি প্রক্রিয়াজাত শিল্প প্রতিষ্ঠান স্থাপন করবে।

রাষ্ট্রদূত জানান, চীন বাংলাদেশ থেকে কৃষিজাত পণ্য আমদানি করবে। বাংলাদেশে চলমান রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান চায় বেইজিং। রোহিংঙ্গা জনগোষ্ঠী নিরাপদে যথাযথ সম্মান ও মর্যাদার সহিত মায়ানমারে ফেরত যাবে এই প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।

রোহিংঙ্গা সমস্যা সমাধানে বেইজিং বাংলাদেশের সাথে আছে। এছাড়াও সন্ত্রাস,জোঙ্গিবাদ ও নাশকতা দমনে চিন বাংলাদেশ একসাথে কাজ করবে।

বাংলাদেশের প্রশংসার জন্য রাষ্ট্রদূতকে ধন্যবাদ জানান কৃষিমন্ত্রী। তিনি বলেন, অধিক ফলনশীল ধানের জাত উদ্ভবান করেছে বাংলাদেশ। যদিও এ বিষয় চীন অনেক এগিয়ে রয়েছে। কৃষির আধুনিকায়নের মাধ্যমে জনগণের মানসম্মত খাদ্য ও পুষ্টি নিশ্চিত করে ২০৪১ সালের আগেই উন্নত বাংলাদেশে পরিনত হতে সবখাতে কাজ করছে সরকার।

আরও পড়ুন: এমন যদি হতো… প্রগাঢ় হতো কৃষকের হাসি

কৃষি প্রক্রিয়াজাত ও মূল্যসংযোজনের মাধ্যমে কৃষিকে লাভজনক করতেও কাজ করছে সরকার বলে ‍উল্লেখ করেন কৃষিমন্ত্রী।



বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, চলমান ধানের দাম নিয়ে সরকার বেশ গুরুত্বের সাথে কাজ করছে। কৃষক তার কৃষি পণ্যের ন্যায মূল্য পাচ্ছে না।

কী কী পদক্ষেপ নিলে এই পরিস্থিতি মোকাবেলা করে কৃষকের মুখে হাসি ফোটানো যায়, এক্ষেত্রে স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে। এই মুহুর্তে চাল রপ্তানির কথা ভাবছে সরকার।

প্রতিনিধি দলে আরও ছিলেন Mr. Zheng Tianzhuo, Director of the Political Section of the Chinese Embasst; Ms.Hu Zhiying, Attache of the Political Section. কৃষিমন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন এগ্রিকেয়ার২৪.কমকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।