মালিকুজ্জামান কাকা, যশোর: যশোরের শার্শা উপজেলায় বাণিজ্যিক মিষ্টি জাতের আঙ্গুর চাষ শুরু হয়েছে। উপজেলার গোগা ইউনিয়নের ইছাপুর গ্রামের কৃষক মহাসিন আলী ভারতীয় চয়ন জাতের আঙ্গুর চাষ করে সফল হয়েছেন।

প্রতিদিন মানুষ আঙ্গুর ক্ষেত দেখতে ভিড় করছেন ওই চাষির ক্ষেতে। বছরে তিনবার ফলন ধরে আঙ্গুর গাছে। প্রথম ধাপে কম ফলন হলেও পরিবর্তিতে প্রত্যেক গাছে ২/৩ মণ করে আঙ্গুর বিক্রি করতে পারবেন বলে তিনি আশাবাদী। এর আগে শার্শার বেশ কয়েকটি এলাকায় আঙ্গুর চাষ হলেও তা সুস্বাদু ছিল না।

তবে মহাসিন আলী এবার প্রথম আঙ্গুর চাষে সফল হয়েছেন। তার আঙ্গুর অতি সুস্বাদু বলে তিনি জানান। জমিতে গাছ রোপণের মাত্র ২/৩ মাসে ফল আসতে শুরু করে।

কৃষক মহাসিন আলী শার্শা উপজেলার ইছাপুর গ্রামের রিজাউল ইসলামের পুত্র। তিনি জানান, বাজারে বিক্রি হওয়া বিভিন্ন জাতের আঙ্গুরের চেয়ে তার জমির পাকা আঙ্গুর অনেক ভালো।

এগ্রিকেয়ার২৪.কমের আরোও নিউজ পড়তে পারেন:

নওগাঁর মহাদেবপুরে মিষ্টি আঙ্গুর চাষে সফল আইনজীবী সামিম

দেশে বাণিজ্যিকভাবে চাষ হচ্ছে অম্লমধুর লটকন

ইতালিয়ান টমেটো চাষে তাক লাগিয়েছেন মাসুদ

৯ কাটা জমিতে চয়ন জাতের ৩৬টি আঙ্গুর গাছ রোপণ করেছেন তিনি। পার্শ্ববর্তী ঝিনাইদহ জেলা থেকে তিনি এ চারাগুলো সংগ্রহ করেছেন। তার দেখাদেখি এখন শার্শায় অনেকে আঙ্গুর চাষে আগ্রহী হচ্ছে। ইউটিউব দেখে আঙ্গুর চাষের সিদ্ধান্ত নেই। এরপর ঝিনাইদহের এক চাষির পরামর্শে ৯ কাঠা জমি ১০ বছরের জন্য লিজ নিয়ে ভারতীয় চয়ন জাতের ৩৬টি আঙ্গুর চারা রোপণ করি। খরচ হয়েছে ৯০ হাজার টাকার মত। এখন বিক্রির অপেক্ষায়। তার দাবি বাংলাদেশের মাটিতে সুস্বাদু আঙ্গুর চাষে সফলতায় তিনিই প্রথম।

মহাসিন আলী স্বাভাবিক নিয়মে গাছের গোড়ায় পানি, গোবর, ইটের সুড়কি ও সার দিয়ে পরিচর্যা করে যাচ্ছেন। তবে এ বছর পোকা-মাকড়ে গাছ ও ফলের ব্যাপক ক্ষতি করেছে।

সরকারি ও বেসরকারিভাবে চাষিদের মধ্যে আঙ্গুর চাষের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থার মাধ্যমে সহযোগিতা করা হলে অল্প সময়ে আর্থিক লাভবান এবং গ্রামের বেকার যুবকদের সাবলম্বী হওয়ার পথ সুগম হবে বলে মনে করেন উদ্যোক্তা মহাসিন আলী।

এ বিষয়ে শার্শা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা প্রতাপ কুমার মন্ডল জানান, আমরা আঙ্গুর চাষের খবর শোনার পর প্রাথমিকভাবে তাকে পরামর্শ দিচ্ছি। সরকারি দিক নির্দেশনা মোতাবেক ফলাফল ভালো হলে তখন আমরা সরকারিভাবে বলতে পারি আঙ্গুর চাষের বিষয়টি।

এগ্রিকেয়ার/এমএইচ