দেশের ৩০ লাখ হেক্টর

নিজস্ব প্রতিবেদক, এগ্রিকেয়ার২৪.কম: জলবায়ু পরিবর্তন জনিত কারনে ক্ষতির বিচারে শীর্ষ দশটি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ প্রথম। জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে ইতিমধ্যে দেশের ৩০ লাখ হেক্টর জমি লবণাক্ততায় আক্রান্ত, বৃদ্ধির ধারা অব্যাহত রয়েছে।

আজ শনিবার (১৮ মে) ‘জলবায়ু পরিবর্তন : কৃষি খাতের চ্যালেঞ্জ শীর্ষক সেমিনারে বক্তারা এসব কথা বলেন।



ক্লাইমেট চেইঞ্জ জার্নালিস্ট ফোরাম আয়োজিত এ সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষিমন্ত্রী ড.মোঃ আব্দুর রাজ্জাক।

রাজধানীর আইডিইবি অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত এ সেমিনারে বক্তারা লবণাক্ততা রোধের প্রতিকার হিসেবে বাস্তব ভিত্তিক গবেষনা বেশী প্রয়োজন বলে উল্লেখ করেন। ল্যান্ড জোনিং ও ক্রোপ জোনিং বাস্তবায়ন করাও দরকার বলে মত প্রকাশ করেন তারা।

সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের সাথে খাপ খাওয়ার প্রস্তুতি নিতে হবে। আমাদের কৃষি বিজ্ঞানীরা জলবায়ু পরিবর্তন জনিত সমস্যা মোকাবেলায় নতুন নতুন ফসলের জাত উদ্ভাবন করেছে, প্রতিনিয়ত গবেষণা অব্যাহত আছে।

তিনি বলেন, প্রতিকূল পরিবেশ উপযুগী বিভিন্ন ফসল আবাদের জন্য কাজ করছে কৃষি বিজ্ঞানিরা। জলবায়ু পরিবর্তন জনিত সমস্যা মোকাবেলায় ১২টি সংস্থা কাজ করছে। নগরায়ন ও শিল্পায়নের কারনে ফসলের জমির হ্রাস রোধ করতে হবে সম্মিলিত ভাবে।

কৃষি মন্ত্রী আরও বলেন, কৃষি সম্পূর্ণ প্রকৃতি নির্ভর। প্রকৃতি বিরুপ হলে ফসলের উৎপাদন কমে যায় এবং এর প্রভাব ব্যাপক।

জলবায়ু পরিবর্তন জনিত সমস্যা মোকাবেলায় সবাইকে কাজ করতে হবে বলে মন্তব্য করেন। তিনি জানান,  খাদ্য ঘাটতির দেশ আজ খাদ্যে স্বয়ংসম্পুর্ন। আমাদের লক্ষ্য মাত্রার চেয়ে ফসলের উৎপাদন বেশি হচ্ছে,আমাদের এই অর্জনকে ধরে রেখে সামনে এগোতে হবে।

তিনি বলেন, শ্রমিক সংকটের কারনে ধান কাটার শ্রমিক পাওয়া যাচ্ছে না এটা অর্থনীতির জন্য ভালো,দেশের উন্নতি হয়েছে। অন্যদিকে কৃষকের উৎপাদন খরচ বেড়ে যায় তাদের লোকসান হয়।

আরও পড়ুন: দেশের কৃষিজাত পণ্য আমদানি ও বেসরকারিভাবে বড় বিনিয়োগ করবে চীন

সরকার বর্তমান সংকটের ব্যাপারে খুবই সচেতন, কীভাবে এ থেকে পরিত্রান পাওয়া যায় এর সমাধান বের করতে হবে। কৃষকদের কল্যাণে প্রয়োজনীয় সব করা হবে।

অনুষ্ঠানে বক্তারা বলে, জলবায়ু পরিবর্তন জনিত কারনে ক্ষতির বিচারে শীর্ষ দশটি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ প্রথম। এর কারনে দেশের ৩০ লাখ হেক্টর জমি লবনাক্ততায় আক্রান্ত। এই লবনাক্ততা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এছাড়া বাস্তব ভিত্তিক গবেষনা বেশী প্রয়োজন। ল্যান্ড জোনিং ও ক্রোপ জোনিং বাস্তবায়ন করাও দরকার।



আনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন একেএম এ হামিদ সভাপতি আডিইবি (কেনিক), বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পিকেএসএফ এর চেয়ারম্যান ড. কাজী খলীকুজ্জামান আহমেদ।

স্বাগত বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মোতাহার হোসেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন কাওসার রহমান, সংগঠনের সভাপতি।

কৃষিমন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন এগ্রিকেয়ার২৪.কমকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।