নিজস্ব প্রতিবেদক, এগ্রিকেয়ার২৪.কম: কৃষিশুমারি-২০১৯ এর তথ্য প্রকাশ হয়েছে আজ। তাতে দেখা যায়, দেশে গত এক দশকে উল্লেখযোগ্যহারে বেড়েছে মহিষ ও হাঁস-মুরগি, গরু-ছাগলের সংখ্যা বেড়েছে। এই সময়ে প্রায় ৩৭ লাখ ৭৪ হাজার গরু বেড়েছে। আর ছাগলের সংখ্যা বেড়েছে ৩১ লাখ ২৬ হাজার।

মঙ্গলবার (২৭ ডিসেম্বর) প্রকাশিত কৃষিশুমারি-২০১৯ এর চূড়ান্ত প্রতিবেদনে এমন তথ্য জানা গেছে।

শুমারির তথ্যে দেখা যায়, দেশে মোট কৃষি খানার সংখ্যা ১ কোটি ৬৮ লাখ ৮১ হাজার যা, ২০০৮ সালের শুমারিতে ছিল ১ কোটি ৫১ লাখ ৮৩ হাজার। দেশে নিট আবাদি জমির পরিমাণ ১ কোটি ৮৬ লাখ ৮১ হাজার একর। এর মধ্যে নিট অস্থায়ী ফসলি জমির পরিমাণ ১ কোটি ৬৪ লাখ ২৩ হাজার একর এবং স্থায়ী ফসলের জমির পরিমাণ ১৯ লাখ ৭০ হাজার একর।

প্রতিবেদন থেকে দেখা যায়, দেশে মোট গরুর সংখ্যা ২ কোটি ৯৪ লাখ ৫২ হাজার, যা ২০০৮ সালের শুমারিতে ছিল ২ কোটি ৫৬ লাখ ৭৮ হাজার। অর্থাৎ এক দশকে দেশে গরুর সংখ্যা বেড়েছে ৩৭ লাখ ৭৪ হাজার। আর বর্তমানে ছাগলের সংখ্যা ১ কোটি ৯৪ লাখ ৪৪ হাজার, যা ২০০৮ সালের শুমারিতে ছিল ১ কোটি ৬৩ লাখ ১৮ হাজার। এক দশকে এই সংখ্যাটা বেড়েছে ৩১ লাখ ২৬ হাজার।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, দেশে ১০ বছরে গরু, মহিষ, ছাগল ও হাঁস-মুরগির সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। শুমারিতে মোট মোরগ-মুরগির সংখ্যা দেখানো হয়েছে ১৯ কোটি ৯৪ লাখ ৩ হাজার, যা ২০০৮ সালের শুমারিতে ছিল ৯ কোটি ৭৮ লাখ ১০ হাজার। হাঁসের সংখ্যা বর্তমানে ৭ কোটি ৪৪ লাখ ৯৩ হাজার, যা ২০০৮ সালের শুমারিতে ছিল ৩ কোটি ১৪ লাখ ৩৩ হাজার।

সাধারণত ১০ বছর পর পর দেশে কৃষিশুমারি করা হয়। মঙ্গলবার বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) ২০১৯ সালের শুমারির প্রতিবেদন প্রকাশ করে। ওই বছরের ৯-২০ জুন পঞ্চম কৃষিশুমারি পরিচালিত হয়।

কৃষিশুমারিতে দেশের কৃষি জমির পরিমাণ, মালিকানা, সেচ ব্যবস্থা, আবাদযোগ্য জমির পরিমাণ, ভূমির ব্যবহার, হাঁস-মুরগির ও গবাদিপশুর সংখ্যা ইত্যাদির তথ্য সংগ্রহ করা হয়।

শুমারির প্রতিবেদনে দেখা যায়, ২০০৮ সালের তুলনায় ২০১৯ সালের শুমারিতে আউশ ফসলের চাষের জমি কিছুটা কমলেও, আমন, বোরো, আলু, গম, ভুট্টা, পাট ইত্যাদি ফসল চাষের জমির পরিমাণ উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। ফসলের নিবিড়তা পাওয়া গেছে ২১৪, যা ২০০৮ সালে ছিল ১৭৩।

এমএইচ