নিজস্ব প্রতিবেদক, এগ্রিকেয়ার২৪.কম: দেশে কোরবানির জন্য প্রস্তুত হচ্ছে সোয়া কোটি পশু। বিগত বছরের তুলনায় এবার প্রায় ১ লাখ পশু বেশি বলে জানিয়েছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রাণিসম্পদ অধিদফতর। ফলে আমদানি নয় দেশের পশু দিয়েই কোরবানি সম্পন্ন করার সক্ষমতা রয়েছে বলে জানাচ্ছেন কর্তৃপক্ষ।

মুসলিম জাহানের দুটি উৎসবের একটি হলো ঈদুল আজহা। পশু কোরবানি এ ঈদের একটি আকর্ষণ। প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, প্রাণিসম্পদের এ সফলতা ধরে রাখতে সরকার কিছু উদ্যোগ না নিলে খামারিরা মুখ ফিরিয়ে নিবে।

প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের খামার শাখা সূত্রে জানা গেছে, সারাদেশে এ বছর কোরবানিযোগ্য এক কোটি ১৯ লাখ ১৬ হাজার ৭৬৫টি পশু প্রস্তুত হচ্ছে। গত বছর প্রস্তুত ছিল এক কোটি ১৮ লাখ ৯৭ হাজার ৫০০টি পশু। আর কোরবানি হওয়া পশুর সংখ্যা ছিল ৯৪ লাখ ৫০ হাজার ২৬৩টি। অবশ্য আগের বছরগুলোতে কোটিরও বেশি পশু জবাই হয়েছে।

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের পশু প্রজনন ও জেনেটিক্স বিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. রুহুল আমিন এগ্রিকেয়ার২৪.কমকে জানান, ভারত থেকে গরু আনা বন্ধ না হলে দেশের খামারিদের এ সফলতা ধরে রাখা সম্ভব হবে না। কোরবানির জন্য খা্মারিরা আগে থেকেই প্রস্তুতি নিতে থাকেন। খামারিরা ৩-৪ মাস ভালো খাবার ও যত্ন দিয়ে পশু লালন-পালন করে। যাতে কোরবানিতে বিক্রি করতে পারেন। কোরবানির হাটে আরেকটি বিষয় থাকে। সেটা হলো চাঁদা আদায়। এটা বন্ধ করা প্রয়োজন।

প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. শেখ আজিজুর রহমান বলেন, কোরবানির পশুর জন্য বছর তিনেক আগেও আমাদের অন্যের দিকে তাকিয়ে থাকতে হতো। এখন আর আমাদের অন্যের দিকে তাকিয়ে থাকতে হচ্ছে না।

প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, এ বছর হৃষ্টপুষ্টকরণের মাধ্যমে দেশে পশু প্রস্তুত করা হচ্ছে ৬২ লাখ ৩৬ হাজার ৩১টি। গবাদিপশুর সংখ্যা রয়েছে ৩৮ লাখ ৫৮ হাজার ৮০০টি। ষাঁড় রয়েছে ২৪ লাখ ৫২ হাজার ৭২৩টি, বলদ ছয় লাখ ৪৭ হাজার ৬১৬টি, গাভী ছয় লাখ ২৭ হাজার ৫৪৭টি, মহিষ এক লাখ ৩০ হাজার ৯১৪টি। অপরদিকে, ছাগল রয়েছে ২০ লাখ ৪২ হাজার ৭৮৬টি ও ভেড়া তিন লাখ ২৯ হাজার ৯৬২টি। এছাড়াও অন্যান্যের মধ্যে রয়েছে ৪ হাজার ৭৬৫টি। গৃহপালিত গরু ও মহিষের সংখ্যা ছয় লাখ ৮৮ হাজার ২০০টি। ছাগল ও ভেড়ার সংখ্যা ৪৯ লাখ ৯২ হাজার ২৫২টি। সবমিলিয়ে মোট সংখ্যা ১ কোটি ১৯ লাখ ১৬ হাজার ৭৬৫টি।

এগ্রিকেয়ার/এমএইচ