ফসল ডেস্ক, এগ্রিকেয়ার২৪.কম: দেশেই চাষ হচ্ছে দেড় কেজি ওজনের ক্যান্সার প্রতিরোধী টক আতা ফল। এই ফল চাষে সফলতা পেয়েছে রাঙামাটির কাপ্তাইয়ের কৃষি গবেষণা কেন্দ্র। এটি খেতে অনেকটা আতা ফলের মতই সুস্বাদু। সেইসাথে রয়েছে দারুণ পুষ্টি ও ঔষধি গুণাগুণ।

এই ফলটি দেখতে খুব সুন্দর এবং সারা গায়ে খাঁজ কাটা থাকে। টক আতার গায়ের রং কাঁচা অবস্থায় সবুজ আর পাকা অবস্থায় হালকা হলুদ-সবুজের মিশ্রণে তৈরী হয়। এ ফলটি সর্সপ, গ্রিভিওলা, ক্যাস্টার্ড আপেল, পাউপা, গায়াবানো এবং গুনাবান নামেও পরিচিত।

এছাড়া ইতিমধ্যে প্রতিষ্ঠানে চাষকৃত এই অপার সম্ভাবনাময় ফলটি ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। ক্যান্সার প্রতিরোধক এই টক আতার উৎপত্তিস্থল দক্ষিণ আমেরিকা। কাপ্তাই কৃষি গবেষণা কেন্দ্র সূত্রে জানা যায়, গত ৪ বছর পূর্বে চারা এনে লাগানো হয় রাইখালী কৃষি গবেষণা ফার্মে। ২ বছর হচ্ছে গাছ গুলোতে ফল ধরতে শুরু করেছে। এক একটি গাছে ১৫ থেকে ২০টি ফল ধরে। যার প্রতিটির ওজন প্রায় ১ কেজির মতো।

পড়তে পারেন: বাজারে উঠছে রাজশাহীর আম, দামে খুশি চাষিরা

বিজ্ঞানীরা বলছেন, ভিটামিন ও খনিজ সমৃদ্ধ টক আতার গাছের পাতা ও বাকলের রস ক্যান্সার প্রতিরোধে সহায়ক হয়। এছাড়া এই গাছের পাতার সেদ্ধ পানি নিয়মিত খেলে রক্তে মাত্রাতিরিক্ত চিনি যেমন কমে, মুক্তি মেলে উচ্চ রক্তচাপ থেকেও।

কাপ্তাই উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুনতাসির জাহান বলেন, এ ফলটি আমি খেয়েছি। অনেক সুস্বাদু। এর স্বাদ আতা ফলের মতো।

ইউএনও আরও বলেন, এ গাছের পাতার সেদ্ধ পানি নিয়মিত খেলে ব্লাড সুগার কমায়, হাইপারটেনশন থেকেও মুক্তি মেলে এবং শরীর তরতাজা থাকে।

প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মোঃ আলতাফ হোসেন বলেন, ক্যান্সার প্রতিরোধী হিসেবে সবাই চিনে আসছেন। এই ফল পরীক্ষামূলকভাবে আমাদের কেন্দ্র গত ৫ বছর ধরে গবেষণা করছি। আশা করি, গবেষণা লব্ধ ফলাফল থেকে যদি একটা জাত উদ্ভাবন করতে পারি এবং সেই জাতটা পাহাড়ের বিভিন্ন ফল বাগানে সম্প্রসারণ করতে পারি তাহলে এ এলাকার কৃষকরা লাভবান বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

এগ্রিকেয়ার/এমএইচ