দেশে ধান থেকে ভাত

কৃষিবিদ দীন মোহাম্মদ দীনু, বাকৃবি থেকে, এগ্রিকেয়ার২৪.কম: দেশে ধান থেকে ভাত হওয়ার প্রক্রিয়া পর্যন্ত অপচয় ১৪%, জাপানে ৬%’রও কম হয়।

‘সাসটেইনেবল এগ্রিকালচার মেকানাইজেশন অ্যান্ড পোস্ট হারভেস্টে প্রাকটিস ইন বাংলাদেশের’ বার্ষিক কর্মশালায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনের সময়ে বাকৃবি’র কৃষি শক্তি ও যন্ত্র বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. মঞ্জুরুল আলম এ তথ্য তুলে ধরেন।



আজ বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৯) অ্যাপ্রোপ্রিয়েট স্কেল ম্যাকানাইজেশন ইনোভেশন হাব, বাংলাদেশ, পোস্ট হারভেস্ট লস রিডাকশন ইনোভেশন ল্যাব বাংলাদেশ ফেজ (২) এবং বাকৃবির কৃষি শক্তি ও যন্ত্র বিভাগ যৌথ ভাবে কর্মশালাটি আয়োজন করে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের সৈয়দ নজরুল ইসলাম সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত এ কর্মশালায় কৃষি প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. নুরুল হকের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাকৃবি অ্যামেরিটাস অধ্যাপক ড. এম এ সাত্তার মন্ডল।

অনুষ্ঠানে প্রধান পৃষ্ঠপোষক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাকৃবির উপাচার্য অধ্যাপক ড. লুৎফুল হাসান। বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন এসিআই মটরস এর এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর সুব্রত রঞ্জন দাস।

পরে একটি টেকনিক্যাল সেশনের আয়োজন করা হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন বাকৃবির অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের খন্ডকালীন অধ্যাপক ড. বি কে বালা।

কৃষি শক্তি ও যন্ত্র বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. মঞ্জুরুল আলম কর্মশালায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। এসময় তিনি দেশে ধান থেকে ভাত হওয়ার প্রক্রিয়া পর্যন্ত অপচয় ১৪%, জাপানে ৬%’রও কম হয় বলে তথ্য তুলে ধরেন।

তিনি বলেন, প্রচলিত পদ্ধতিতে ধানকে চাল এবং চালকে ভাত করে খাবার টেবিলে পৌঁছাতে ১৪ ভাগই অপচয় হয়।

তিনি জানান, জাপানে এ অপচয় ৬ ভাগেরও কম। একই সঙ্গে প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় ধান শুকাতে প্রচুর দুর্ভোগও পোহাতে হয়। এ অবস্থা থেকে পরিত্রাণের জন্য বিএইউ-এসটিআর ড্রায়ার (ধান শুকানো যন্ত্র) উদ্ভাবন করা হয়েছে।

এ সময় আলোচক হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, বাকৃবির কৃষি শক্তি ও যন্ত্র বিভাগের অধ্যাপক অধ্যাপক ড. মো. আব্দুস সাত্তার, অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল আওয়াল, বিএডিসির মুখ্য প্রকৌশলী মো. লুৎফুর রহমান। বক্তারা যুগপোযোগী প্রযুক্তির গুরুত্ব তুলে আলোচনা করেন।

আরও পড়ুন: উদ্ভাবিত প্রযুক্তিসমূহ মাঠ পর্যায়ে সম্প্রসারণে আরও আগাবে মৎস্য খাত, বাকৃবি ভিসি