অর্থ-বাণিজ্য ডেস্ক, এগ্রিকেয়ার২৪.কম: ২০২০-২১ অর্থবছরের জুলাই থেকে মে পর্যন্ত এই ১১ মাসে ভোমরা বন্দর দিয়ে ৫২ হাজার ৮৬ টন শুকনো মরিচ আমদানি হয়েছে। এই আমদানি করা মরিচের মূল্য ৭৫৫ কোটি ৬৬ লাখ টাকা।

এই ১১ মাসে আগের অর্থবছরের তুলনায় প্রায় ৪০ শতাংশ আমদানি বেড়েছে বলে জানিয়েছে ভোমরা শুল্ক স্টেশনের রাজস্ব বিভাগ । আমদানীকৃত শুকনো মরিচ থেকে সরকারের রাজস্ব আয় এসেছে ৭৫ কোটি ৫৬ লাখ টাকা।

সূত্রটি আরো জানায়, ২০১৯-২০ অর্থবছরের একই সময়ে এ বন্দর দিয়ে ৩২ হাজার ৫৮৮ টন শুকনো মরিচ আমদানি করা হয়েছিলো, যার মূল্য ৪৬০ কোটি ৯৮ লাখ টাকা। আমদানীকৃত পণ্যটি থেকে সরকারের রাজস্ব আয় আসে ৪৬ কোটি ৯ লাখ টাকা। সে হিসেবে ২০২০-২১ অর্থবছরে আগের অর্থবছরের তুলনায় আমদানি প্রায় ৪০ শতাংশ আমদানি বেড়েছে। পাশাপাশি রাজস্ব আয়ও বেড়েছে।

ভোমরা স্থলবন্দরের সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট ব্যবসায়ী অ্যাসোসিয়শনের সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান জানান, ভারতের মহারাষ্ট্র থেকে ভোমরা বন্দর দিয়ে শুকনো মরিচ আমদানি অনেক সহজ। তাই দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের ব্যবসায়ীরা এ স্থলবন্দর দিয়ে পণ্যটি আমদানি করছেন। তিনি আরো বলেন, আমাদের দেশে যে পরিমাণ শুকনো মরিচ উৎপাদন হয়, তা দিয়ে দেশীয় চাহিদা মেটানো সম্ভব নয়। ফলে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ শুকনো মরিচ ভারত থেকে আমদানি করতে হয়।

সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দরের অন্যতম মসল্যাজাতীয় পণ্য আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান মেসার্স রাফসান ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী মো. আবু হাসান জানান, ভারতের মহারাষ্ট্র থেকে শুকনো মরিচ আমদানি করে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সরবরাহ করেন। বিদায়ী অর্থবছর তার প্রতিষ্ঠান আগের অর্থবছরের তুলনায় শুকনো মরিচ আমদানি ৩০ শতাংশ বাড়িয়েছে। প্রতিদিন গড়ে ২৫-৩০ টন শুকনো মরিচ আমদানি করছেন।

সাতক্ষীরার সুলতানপুর বড়বাজারের মেসার্স শাওন এন্টারপ্রাইজে আমদানীকৃত শুকনো মরিচ পাইকারি বিক্রি হচ্ছে ২৪০-২৪৫ টাকা কেজি দরে। ১৫ দিন আগেও এ প্রতিষ্ঠানে শুকনো মরিচ পাইকারি বিক্রি হয়েছে ২৬০-২৬৫ টাকা কেজি দরে।

এ বাজারের খুচরা মসলা বিক্রয় প্রতিষ্ঠান ঠাকুর স্টোরে শুকনো মরিচ বিক্রি হচ্ছে ২৫০-২৬০ টাকা কেজি দরে। প্রতিষ্ঠানটির স্বত্বাধিকারী সাহা চন্দ্র জানান, আমদানি বেড়ে যাওয়ায় শুকনো মরিচের দাম কমে গেছে। তাছাড়া করোনা মহামারীর প্রভাবে পণ্যটির চাহিদা কিছুটা কমেছে। ফলে দাম নিম্নমুখী।

ভোমরা শুল্ক স্টেশনের দায়িত্বরত কাস্টমসের বিভাগীয় সহকারী কমিশনার আমীর মামুন জানান, বেশির ভাগ মসলাপণ্য থেকেই সরকার ভালো পরিমাণ রাজস্ব আয় করে ২০২০-২১ অর্থবছরে এ বন্দর দিয়ে আগের অর্থবছরের তুলনায় শুকনো মরিচ আমদানি বেড়েছে। এতে সরকারের রাজস্ব আয়ও বেড়েছে।

এগ্রিকেয়ার/এমএইচ