ফসল ডেস্ক, এগ্রিকেয়ার২৪.কম: টুংরো ধানের ভাইরাস জনিত রোগ। বাংলাদেশে প্রায় ২/৩ বছর পর পর বিস-ীর্ণ এলাকা জুড়ে রোগটি দেখা দেয় এবং এতে প্রচুর ফলন কমে যায়। আসুন টুংরো রোগের কারণ ও প্রতিকার সম্পর্কে জেনে নিই:

টুংরো রোগ:
রোগের কারণ: এটি একটি ভাইরাস জনিত রোগ।

ক্ষতির ধরণ: টুংরো রোগ হলে ধান গাছের বাড়তি কমে যায় এবং কুশি কম হয়। আক্রান্ত পাতা ও পাতার খোল খাটো হয়। কচি পাতাগুলো পুরাতন পাতার খোলের মধ্যে আটকে থাকে। নুতন পাতা খাটো ও চওড়া হয় এবং মোচড় খেয়ে যায়। এসব কারণে গাছ বাড়তে পারে না। আক্রান্ত পাতা প্রথমে হালকা হলুদ এবং পরে গাঢ় হলুদ থেকে কমলা বর্ণের হয়ে যায়।

ধানের জাত বিশেষ পাতার রং ভিন্ন ভিন্ন হয়ে থাকে। পাতা ও কান্ডের মধ্যবর্তী কোন বেড়ে যায়। আক্রান্ত ধান গাছ পাকা পর্যন্ত বাঁচতে পারে তবে আক্রমণ তীব্র হলে গাছগুলো শুকিয়ে মরার মত হয়ে যায়। হালকাভাবে আক্রান্ত গাছ বেঁচে থাকে তবে তাতে ২-৩ সপ্তাহ পর ফুল আসে এবং ফলন অনেক কম হয়।

আরও পড়ুন:ধানের গলমাছি দমনে কৌশল

এসব গাছে ধানের ছড়া আংশিক বের হয়, দানাগুলো কালো ও অপুষ্ট হয়। দেরীতে আক্রান্ত গাছে ধান পাকা পর্যন্ত রোগের লক্ষণ অনেক ক্ষেত্রে ম্লান হয়ে যায়। টুংরো আক্রান্ত ধান গাছ কাটার পর তার মুড়ি ধানেও রোগের লক্ষণ প্রকাশ পায়।

লক্ষণ:
টুংরো রোগ একটি ভাইরাস জনিত রোগ। সবুজ পাতাফড়িং নামক এক ধরণের পোকা এ রোগটির বাহক। রোগটি চারা অবস্থা থেকে ফুল আসা পর্যন্ত যে কোন সময় দেখা দিতে পারে। প্রাথমিক অবস্থায় আক্রান্ত গাছের পাতায় লম্বালম্বিভাবে হালকা সবুজ ও হালকা হলদে রেখা দেখা দেয়। পরে আস্তে আস্তে পুরো পাতাটাই হলদে বা কমলা হলদে রং ধারণ করে। আক্রান্ত কচি পাতা হালকা রংয়ের হয় এবং মুচড়ে যায়।

আরও পড়ুন:ধানের পাতামাছি পোকা দমন ব্যবস্থাপনা

প্রতিকার: 
১.রোগ সহনশীল জাত যেমন বিআর২২ বিআর২৩, ব্রিধান২৭, ব্রিধান৩১ ও ব্রিধান৪১ ইত্যাদি চাষ করা।
২.হাত জাল দিয়ে বা অনুমোদিত কীটনাশক প্রয়োগ করে সবুজ পাতাফড়িং দমন করতে হবে।
৩.আলোক ফাঁদব্যবহার করে সবুজ পাতাফড়িং মেরে ফেলা যায়।
৪.টুংরো আক্রান্ত জমির আশে পাশে বীজতলা করা থেকে বিরত থাকতে হবে।
৫.আড়ালি ঘাস, বাওয়া ধান নিধন করতে হবে।

ধানের টুংরো রোগের কারণ ও প্রতিকার শিরোনামে লেখাটি কৃষি তথ্য সার্ভিস থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে।

এগ্রিকেয়ার / এমবি