নিজস্ব প্রতিবেদক, এগ্রিকেয়ার২৪.কম: কৃষকের ধানের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করতে ধান ক্রয়ের ক্ষেত্রে অনলাইন সিস্টেম চালুর পরামর্শ দিয়েছেন বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইন্সটিটিউটের (ব্রি) মহাপরিচালক ড. মো. শাহজাহান কবীর।
আজ শনিবার (২ ফেব্রুয়ারি) গাজীপুরে ব্রি’র মিলনায়তনে বার্ষিক গবেষণা পর্যালোচনা কর্মশালায় ২০১৭-১৮ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্যে তিনি এ পরামর্শ তুলে ধরেন।
ব্রি’র মহাপরিচালক বলেন, নিত্য নতুন জাত উদ্ভাবনের মাধ্যমে খাদ্যের স্বয়ংসম্পূর্ণতা নিশ্চিত করা আমাদের প্রধান লক্ষ্য। এ টার্গেট পূরণে আমাদের সর্বেশষ সংযোজন উচ্চফলনশীল ব্রি ধান ৮৮ ও ব্রি ধান ৮৯।
তিনি বলেন, বর্তমান সরকারের গত ১০ বছরে আমরা ৪৩ টি নতুন জাত উদ্ভাবন করতে সক্ষম হয়েছি। আগামী ২ বছরের মধ্যে ব্লাস্ট প্রতিরোধী ধানের জাত উদ্ভাবনের লক্ষ্য রয়েছে। দেন শাহজাহান কবীর৷
কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক নতুন ধানের জাতসহ উন্নত প্রযুক্তি দ্রুত কৃষক পর্যায়ে ছড়িয়ে দেয়ার পাশাপাশি বন্যা, খরা, লবণাক্ততা ও জলাবদ্ধতাসহ বিভিন্ন প্রতিকূল পরিবেশ সহনশীল ধানের জাত ও লাগসই প্রযুক্তি উদ্ভাবন ও উন্নয়নের জন্য ব্রির বিজ্ঞানীদের প্রতি আহ্বান জানান।
গত এক বছরের গবেষণা কার্যক্রম ও আগামী এক বছরের পরিকল্পনা তুলে ধরে ধান গবেষণা ইন্সটিটিউটের পরিচালক (গবেষণা) ড. তমাল লতা আদিত্য বলেন, ব্লাস্ট প্রতিরোধী ধানের জাত উদ্ভাবনের লক্ষ্যে আমাদের কাজ চলছে। একই সঙ্গে গভীর ও কম পানিতে চাষ উপযোগী ধানের জাত উদ্ভাবনের চেষ্টাও চলছে।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, প্রচলিত জাতের চেয়ে হাইব্রিড ধানের জাত উদ্ভাবনে আরও বেশি নজর দিতে হবে। প্রয়োজনে হাইব্রিড গবেষণা ইন্সটিটিউট নামে আলাদা একটি প্রতিষ্ঠান করা যেতে পারে।
এতে আরও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশনের (বিএডিসি) ফজলে ওয়াহেদ খোন্দকার, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের (বিএআরসি) নির্বাহী চেয়ারম্যান কবির ইকরামূল হক ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের মহাপরিচালক মীর নূরুল আলম।
কৃষি মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব নাসিরুজ্জামান এতে সভাপতিত্ব করেন। বিজ্ঞানীদের আশানুযায়ী মাঠ পর্যায়ে কেন ফলন হয় না তা নিয়েও গবেষণা করা যেতে পারে বলে মন্তব্য করেন তিনি। প্রচলিত জাত পরিবর্তনের মাধ্যমে দেশে ধানের উৎপাদন বাড়বে বলেও প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন কৃষি সচিব।
অনুষ্ঠানে ব্রির পরিচালক (প্রশাসন ও সাধারণ পরিচর্যা) ড. মো. আনছার আলী এতে ধন্যবাদ সূচক বক্তব্য রাখেন।