ধানের বীজ কিনে প্রতারিত

ফসল ডেস্ক, এগ্রিকেয়ার২৪.কম: ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরে অভিযোগ করে ধানের বীজ কিনে প্রতারিত হওয়া ৭ কৃষক ক্ষতিপূরণ পেয়েছেন। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এটি একটি উদাহরণ হলো, কৃষকের উচিত এভাবে অভিযোগ জানানো।

ভোক্তা অধিদফতরের সহকারী পরিচালক সুচন্দন মন্ডল এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, ধানের বীজ কিনে প্রতারিত হওয়ায় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরে অভিযোগ করেন। এরপর প্রয়োজনীয় নিয়ম মেনে তাদের ২ লাখ ২৯ হাজার ৫০০ টাকা ক্ষতিপূরণ দেয়া হয়।

অধিদফতরের এ ঊর্ধতন কর্মকর্তা জানান, শহরের অগ্নিবীণা সড়কের শহিদ বীজ ভান্ডার থেকে চলতি মৌসুমে আবাদের জন্য স্বর্ণা ধানের বীজ কিনে প্রতারিত হন সাত কৃষক। বিষয়টি নিয়ে গত ১৮ আগস্ট তারা অভিযোগ করেন।

পরে বিষয়টি নিয়ে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মতামত চাইলে স্বর্ণা ধানের এ জাতটি অবৈধ বলে বিবেচিত হয়। অভিযোগ শুনানি শেষে সত্যতা প্রমাণিত হয়। পরে ভুক্তভোগী কৃষকরা বিঘা প্রতি ৯ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ দাবি করেন।

ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের এ কর্মকর্তা বলেন, অভিযোগ মীমাংসার মাধ্যমে ওই সাত কৃষককে ২৫ বিঘা জমির জন্য ২ লাখ ২৯ হাজার ৫০০ টাকা ক্ষতিপূরণ দেয় শহিদ বীজ ভান্ডার।

ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকদের মধ্যে রয়েছেন, হরিণাকুন্ডু উপজেলার চাঁদপুর ইউনিয়নের হাকিমপুর গ্রামের কৃষক জনাব আলী, আজিজার মন্ডল, আতিয়ার রহমান, নুজির আলী খাঁ, সজল হোসেন, আকাশ মিয়া, লিমন হোসেন।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এটি খুবই ভালো পদক্ষেপ। কৃষকদের উচিত তাদের নিজ নিজ অবস্থান থেকে সচেতন হওয়া। তারা কোনো প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্ত হলে অবশ্যই অভিযোগ করতে পারেন। ভোক্তা অধিদফতরের কাজটিও প্রশংসার দাবি রাখে। ধানের বীজ কিনে প্রতারিত ৭ কৃষক ক্ষতিপূরণ পেলেন শিরোনামের সংবাদটির তথ্য বণিক বার্তা সংবাদ মাধ্যম থেকে নেয়া হয়েছে।

কৃষক ভাইয়েরা আপনারা কোনো কিছু কিনে যদি প্রতারিত হোন তাহলে আমাদের জানাতে পারেন। অথবা আপনার উপজেলা বা জেলা অথবা প্রধান কার্যালয়ে ভোক্তা অধিদফতরে অভিযোগ করবেন। অনলাইনে সার্চ দিলেই পেয়ে যাবেন ঠিকানা। এ বিষয়ে যে কোনো ধরণের সহযোগিতার দকরার হলে আমাদের ম্যাসেজ করে জানাতে পারেন।