ইউসুফ আলী সুমন, নওগাঁ প্রতিনিধি: উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের নব নির্মিত স্লইচ গেটে পানি প্রবাহ বাধাগ্রস্থ হওয়ায় নওগাঁর সাপাহার উপজেলার জবাই বিলে পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে পানিতে তলিয়ে দেড় হাজার বিঘা জমির ধান নষ্ট হয়ে গেছে। এ ফসল নষ্ট হওয়ায় কৃষকরা হতাশায় ভুগছেন।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, বাংলাদেশ-ভারতের সিমান্ত ঘেঁষা পুর্নভবা নদীর পানি বিপদ সীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। সেই সাথে বিলের পানিও ফুলে ফেঁপে আমন আবাদের মাঠ একাকার হয়ে গেছে।

এ বছরই পানি উন্নয়ন বোর্ড জবই বিল রক্ষা বাঁধ নির্মান করে মেইন পয়েন্টে ১২০ ফুট প্রসস্ত জায়গায় ১৪টি দরজা বিশিষ্ট একটি স্লইচ গেট নির্মান করে তার সবকটি দরজা বন্ধ করে রেখেছে। ফলে বিলের পানি নদীতে নামতে না পারায় ফসলি জমি পানির নিচে তলিয়ে গেছে বলে মনে করছেন উপজেলা কৃষি বিভাগ ও স্থানীয় কৃষক।

সম্প্রতি বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হলে পানি উন্নয়ন বোর্ড মেনুয়াল পদ্ধতিতে স্লইচ গেটের কপাটগুলি খোলা রাখার চেষ্টা অব্যহত রেখেছেন। কপাটগুলি সম্পূর্ন খোলা রাখলে ও নদীর পানি টান ধরলে বিল পাড়ের আবাদি জমি জেগে উঠবে বলে কৃষি বিভাগের ধারণা।

আরোও পড়ুন: নওগাঁর বাজারে মোটা চাল উধাও, বিপাকে স্বল্পআয়ের মানুষ

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য মতে, প্রকৃতিক কারনসহ বিভিন্ন কারনে প্রায় দেড় হাজার বিঘা জমির আমন ধান পানির নিচে তলিয়ে গেছে।

নওগাঁর পুর্নভবা নদীর পানি বৃদ্ধি, দেড় হাজার বিঘা জমির ধান নষ্ট বিষয়ে কৃষি কর্মকর্তারা বলেন, ক্ষতিগ্রস্থ আবাদি জমিতে শতভাগ আমন ধান না পেলেও কৃষকরা সেখানে আগাম রবি শস্য বুনতে পারবেন।

এ ব্যাপারে নওগাঁ পানি উন্নয়ন বোর্ডের এসডি সাখাওয়াত হোসেন বলেন, সম্প্রতি সমাপ্ত হওয়া স্লইচ গেটের দরজা তৈরি থেকেই বন্ধ ছিল। স্লইচ গেটটি নির্মিত হয়েছে জবই বিলে প্রচুর পরিমানে পানি ও মাছ আটকানোর জন্য। হঠাৎ প্রবল বৃষ্টিপাতে এত পরিমান পানি বেড়ে যাবে যা ধারণা করা যায়নি।

তিনি বলেন, স্লইচ গেটে বিদ্যুত সংযোগ দেয়া হলেই এ সমস্যা সমাধান করা যাবে। বিদ্যুৎ সংযোগ না থাকায় মেনুয়াল পদ্ধতিতে কপাটগুলি খুলতে একটু বেশি সময় লেগেছে। বর্তমানে গেটের সকল দরজাগুলি খোলা হয়েছে। বিলের পানি প্রবল বেগে নামতে শুরু করেছে।

এগ্রিকেয়ার/এমএইচ