নিজস্ব প্রতিবেদক, এগ্রিকেয়ার২৪.কম: নীলফামারীতে কৃষিতে নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করতে যাচ্ছে সূর্যমুখি ফুলের বাণিজ্যিক চাষ। ভোজ্য তেলের আমদানির বিকল্প হিসেবে জেলায় প্রায় ১৯৯০ বিঘা জমিতে সূর্যমুখী চাষ হচ্ছে বলে জানিয়েছে জেলা কৃষি বিভাগ।

আজ বুধবার (২৪ মার্চ ২০২১) কৃষি বিভাগের উদ্যোগে সূর্যমুখীর ফলন,বাজার ব্যবস্থাপনা এবং সম্ভাবনা বিষয়ে কৃষক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। কৃষি প্রণোদনা ও পূনর্বাসন কর্মসূচির আওতায় সূর্যমুখি ফসলের চাষিদের নিয়ে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার এলিনা আক্তারের সভাপতিত্বে সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নীলফামারীর জেলা প্রশাসক মোঃ হাফিজুর রহমান চৌধুরী ও বিশেষ অতিথি হিসেবে জেলা পুলিশ সুপার বিপিএম,পিপিএম মোঃ মোখলেছুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ কামরুল হাসান বকুল।

সমাবেশে কৃষিবিদগণ বলেন, সূর্যমুখী ফুল একটি লাভজনক শস্য। সূর্যমুখী বীজের তেল স্বাস্থ্যসম্মত। এই তেলে অন্যান্য তেলের চেয়ে পুষ্টিগুন অনেক বেশি। দিন দিন সূর্যমুখী তেলের চাহিদা বাড়ছে। বহুজাতিক কোম্পানিগুলো সূর্যমুখী তেল উৎপাদনের দিকে ঝুঁকছেন। তাই বাজারে সূর্যমুখী বীজের অনেক চাহিদা থাকায় কৃষকরা সহজেই কম পরিশ্রমে ও কম খরচে সূর্যমুখী ফুলের চাষ করে অন্যান্য ফসলের চেয়ে অধিক লাভবান হতে পারবেন।

সূর্যমুখী ফুলের চাষের জনপ্রিয় করার লক্ষ্য কৃষি বিভাগ কাজ করে আসছে। চাষীদের প্রশিক্ষণ, বীজ সরবরাহ করাসহ নানা পরামর্শ দিয়ে আসছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে চলতি বছর জেলায় সূর্যমুখী ফুলের বীজের ভালো ফলন হবে বলে আশা করা হচ্ছে। জেলার পূর্ব গুড়গুড়ি ব্লকে একসাথে ১৭ বিঘা জমিতে সূর্যমুখী চাষ হয়। গুড়গুড়ি এবং”পুষ্টিবাড়ী” সূর্যমুখীর বীজ থেকে তেল উৎপাদন ও বাজারজাত করছেন কৃষক মোঃ গোলাম রব্বানী।

এছাড়াও সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন, নীলফামারী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মেয়র কৃষিবিদ দেওয়ান কামাল আহমেদ, জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপরিচালক কৃষিবিদ ওবায়দুর রহমান মন্ডল এবং নীলফামারি সদর উপজেলা চেয়ারম্যান শাহিদ মাহমুদ। এসময় জেলাপ্রশাসক, পুলিশ সুপার, উপজেলা নির্বাহী অফিসারসহ অতিথিবৃন্দের হাতে কৃষকের উৎপাদিত সূর্যমুখী তেল উপহার দেন কৃষিবিদ ওবায়দুর রহমান।

এগ্রিকেয়ার/এমএইচ