ডেস্ক প্রতিবেদন, এগ্রিকেয়ার২৪.কম: পটল আমাদের দেশে একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সবজি হিসেবে কাজ করে। কিন্তু বিভিন্ন রোগ বালাইয়ের কারণে এর ফলন কম হয়। এর মধ্যে পটলের পাউডারি মিলডিউ ও কাণ্ডের রস ঝরা রোগ অন্যতম। তাই আমাদের পটলের বিভিন্ন রোগ দমন সম্পর্কে জানতে হবে।

আসুন জেনে পটলের পাউডারি মিলডিউ ও কাণ্ডের রস ঝরা রোগ দমনের কৌশল জেনে নিই:

পাউডারি মিলডিউ রোগ: এ রোগে পাতার উপরে সাদা সাদা পাউডার দেখা যায় যা পাতা নষ্ট করে যায়। পাতার ওপরের দিকে ও কাণ্ডে পাউডারের মতো ছত্রাকের জীবাণুর প্রলেপ পড়ে। এতে ক্রমান্বয়ে কচি পাতা আক্রান্ত হয়। আক্রমণের প্রথম স্তরে দাগগুলো সাদা ধীরে ধীরে হলুদ হয়ে সম্পূর্ণ পাতা শুকিয়ে যায়।

আরও পড়ুন: পটলের শিঁকড়ের গিট রোগ দমন কৌশল

প্রতিকার : আক্রান্ত গাছের পরিত্যক্ত অংশ পুড়ে ফেলা। পরিমিত সার, সেচ প্রয়োগ। থিওভিট (০.২%) বা টিল্ট (০.১%) রোগ দেখা মাত্র ১৫ দিন অন্তর অন্তর স্প্রে করতে হবে।

কাণ্ডের রস ঝরা: এর ফলে শীতের সময় পটোল গাছের কাণ্ড ফেটে যায় এবং এক ধরনের আঁঠালো পদার্থ নি:সৃত হয়। এটা পরবর্তীকালে বাতাসের সংস্পর্শে এসে শক্ত হয়ে কাণ্ডের সাথে লেগে যায়।

প্রতিকার : রিডোমিল গোল্ড ২ গ্রাম প্রতি লিটার পানিতে মিশিয়ে আক্রমণের সময় এবং ১০ থেকে ১৫ দিন পরপর তিনবার স্প্রে করা। বর্দোমিক্সার ব্যবহার করা।

শিকড়ের গিট রোগ: পটোলের শিকড়ে গিট রোগ মারাত্মক সমস্যা। কৃমির আক্রমণে এ রোগ হয়। এর আক্রমণে আক্রান্ত গাছে ছোট-বড় অনেক গিঁটের সৃষ্টি হয়। ফলে এদের মূল নষ্ট হয়ে খাবার নিতে পারে না। গাছ দুর্বল হয়ে পড়ে। গাছ খাটো হয়ে পড়ে। ফলন মারাত্মক কমে যায়।

আরও পড়ুন: যেভাবে পটল চাষে শতভাগ সফলতা আসে

প্রতিকার : পরিচ্ছন্ন চাষাবাদ করা। সরিষা, মরিচ, গম, ভুট্টা ইত্যাদি দ্বারা ফসল চক্র করা। ভালো ভাবে চাষ ও মই দিয়ে শুষ্ক মৌসুমে পতিত রাখা। পটোল রোপণের ২০ থেকে ২৫ দিন আগে হেক্টর প্রতি মুরগির বিষ্ঠা ৩ থেকে ৫ টন বা সরিষার খৈল ৪০০ থেকে ৫০০ কেজি মাটির সাথে ভালোভাবে মিশিয়ে দেয়। ফুরাডান ৫ জি বা মিরাল ৩ জি, কুরাটার ৫ জি ৩০ থেকে ৪০ কেজি/হেক্টরও লতা লাগানোর সময় এবং পরবর্তী ৪ মাস পর পুনরায় প্রয়োগ করা হয়।

পটলের মিলডিউ ও কাণ্ডের রস ঝরা রোগ দমনে করণীয় শিরোনামে লেখাটির তথ্য কৃষি তথ্য সার্ভিস থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে।

এগ্রিকেয়ার / এমবি