ছবি: নওগাঁর পত্নীতলা উপজেলার কৃষক মজিবর রহমান

ইউসুফ আলী সুমন, নওগাঁ প্রতিনিধি: নওগাঁর পত্নীতলা উপজেলার কৃষক মজিবর রহমান। কৃষি কাজ ও মৌসুমে সবজি চাষে ভাগ্য বদলেছে তাঁর। সংসারে ফিরে এসেছে আর্থিক স্বচ্ছলতা। পারিবারের খরচ মিটিয়ে সঞ্চয় করতে পারছেন তিনি।

সরেজমিনে দেখা যায়, এ বছর তিনি ১ বিঘা জমিতে বরবটি, পটল, করলা, ও ঢেঁরস ও অন্য একখন্ড জমিতে বেগুন, চাষ করেছেন। ইতোমধ্যে তিনি ৪০ হাজার টাকার পটল ২০ হাজার টাকার করলা, ১০ হাজার টাকার বরবটি, ও ২ হাজার টাকার ঢেঁড়স বিক্রি করেছেন । বেগুন উঠতে শুরু করেছে সবেমাত্র, সব মিলে ৬০ হাজার টাকার বেগুন বিক্রি হতে পারে বলে জানিয়েছেন তিনি। অথচ এ কাজে তাঁর নেই কোন আধুনিক কৃষি প্রশিক্ষণ ।

বংশপরম্পরায় চাষ করে যাচ্ছেন বিভিন্ন সবজিসহ নানান ফসল, এক সময় তার সংসারে খুব অভাব ছিল , দারিদ্রের সঙ্গে সংগ্রাম করে বড় হয়েছেন , তার এ সংগ্রামী জীবন দেখলে মনে হয় ইচ্ছা আর মনোবলকে কাজে লাগালে যে কোন মানুষ সফল হতে পারে । ২ ছেলে, ২ মেয়ে ও স্ত্রীকে নিয়ে ভালোভাবেই চলছে তার সংসার। ২ মেয়ে কে বিয়ে দিয়েছেন , এক ছেলে লেখাপড়া করে ঢাকায় একটি কোম্পানিতে চাকুরী করেন আর এক ছেলে ছোট তার সংসারে এখন আর আগের মত অভাব নেই ।

তিনি জানান, তার নিজস্ব ৪ বিঘা ধানী জমি আছে, সবজি চাষের জন্য এ জমিটি ২০ হাজার টাকায় লিজ নিয়েছেন। ইউনিয়ন ও উপজেলা পর্যায়ে সরকারি বে সরকারী কোন সংস্থার দিক নির্দেশনা বা সহায়তা পেলে এ কাজে আরো উন্নতি করতে পারবেন।

সবজি চাষে ভাগ্য বদলেছে মজিবরের। এমন চাষিদের বিষয়ে উপজেলা কৃষি র্কমর্কতা কৃষিবিদ প্রক্রাশ চন্দ্র সরকার এগ্রিকেয়ার২৪.কমকে জানান, ধান চাষের চেয়ে সবজি চাষে লাভ বেশী এ জন্য সবজি চাষে আগ্রহ বাড়ছে কৃষকদের । কৃষি বিভাগ সব সময় কৃষকদের পাশে থেকে কাজ করে যাচ্ছে।

এগ্রিকেয়ার/এমএইচ