ছবি: আগাছানাশক (বিষ) প্রয়োগে পুড়ে যাওয়া জমির ধান।

রাণীনগর (নওগাঁ) প্রতিনিধি: নওগাঁর রাণীনগরে চলতি বোরো মৌসুমের পাকা ধানে কারেন্ট পোকার আক্রমণে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন চাষিরা। কয়েকঘন্টার ব্যবধানে চিটায় রুপান্তর হচ্ছে ধান।

কৃষকরা বলছেন, বিকেলে ভালো ধান জমিতে দেখে আসলে সকালে গিয়ে জমিতে ধানের শীষে সাদা চিটা দেখা যাচ্ছে। ধানে কোন দানা থাকছে না। এ অবস্থায় চাষিরা বিভিন্ন কোম্পানির নামিদামি ব্যান্ডের কীটনাশক ওষুধ ছিঁটিয়ে কোন ফল পাচ্ছেন না। চাষিরা যে যেমন ভাবে পারে জমি থেকে ধান কেটে ঘরে তোলার চেষ্টা করছেন। শেষ মূহুর্তে ফলন বিপর্যয়ের আশংঙ্কা করছে কৃষকরা। উপজেলার মিরাট ইউনিয়নের আতাইকুলা, হরিশপুর ও কনৌজ মাঠে কারেন্ট পোকার আক্রমণ প্রকট হয়েছে।

কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, চলতি বোরো মৌসুমে প্রায় ১৯ হাজার হেক্টর জমিতে ইরি বোরা ধান হয়েছে। ইতোমধ্যে আংশিক কাটা-মাড়াই শুরু হয়েছে।

বিনা খরচে ধানের ক্ষতিকারক পোকা দমন কৌশল

উপজেলার ৮টি ইউনিয়নে দিগন্ত জুড়ে পাকা ধানের সোনালী রঙের ঝিলিক। যতদূর চোখ যায় শুধু পাকা ধানের সোনালী রঙের চোখ ধাঁধানো দৃশ্য। মাঠ জুড়ে পাকা ধান। মিরাট ইউনিয়নে বিল মুনসুর ও চৌরসহ পার্শ্ববর্তী এলাকায় কারেন্ট পোকার হানায় পাকা ধানের ক্ষতির আশংকা দেখা দিয়েছে।

উপজেলার হরিশপুর গ্রামের কৃষক আবুল হোসেন জানান, আমার ২ বিঘা জমিতে বিআর ২৯ জাতের ধান লাগায়। সব কিছু ঠিকঠাক থাকায় ধান খুব ভালো হয়েছিলো। কাটা শুরু করার কয়েকদিন আগে হঠাৎ করে কারেন্ট পোকার আক্রমনে ধানের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।

এ বিষয়ে রাণীনগর উপজেলা কৃষি অফিসার শহিদুল ইসলাম এগ্রিকেয়ার২৪.কমকে জানান, আগামী দশ দিনের মধ্যে পুরো ধান পেকে যাবে। কয়েকটি ইউনিয়নে কিছু কিছু এলাকায় ধান পেকেছে। শেষ মূহুর্তে আবহাওয়া ভালো থাকলেও কিছু এলাকায় কম বেশি কারেট পোকার আক্রমণ হচ্ছে। চাষিদেরকে আমরা বিভিন্ন প্রকারের কীটনাশক ছিটানোর পরা মর্শ দিচ্ছি। আশা করছি উৎপাদনের তেমন ক্ষতি হবেনা।

এগ্রিকেয়ার/এমএইচ