চারঘাট (রাজশাহী) প্রতিনিধিঃ কম জমি থাকায় অন্য আবাদ ভালো না হওয়ায় চারঘাট উপজেলা কৃষি অফিসের সহায়তায় ও পরামর্শে নিজের মাত্র ২৫ শতক জমিতে পানের বরজ স্থাপন করেন উপজেলার শিবপুর গ্রামের কৃষক সারোয়ার হোসেন। গত বছরের ডিসেম্বরে পানের বরজ স্থাপন করে বর্তমানে পান বাজারজাতকরণ করতে পারছেন তিনি।

সারোয়ার হোসেন পান চাষ করে এলাকার দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। তার পানের বরজে কাজ করে সংসার চালাচ্ছেন এলাকার আরও ৩-৪ জন শ্রমিক। তার মতো এলাকার অনেক কৃষকই পান চাষে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।

সারোয়ার হোসেন জানান, প্রথমে ভাগ্য বদলাতে নিজ উদ্যোগে ও কৃষি অফিসের পরামর্শ নিয়ে বাড়ির পাশের ২৫ শতক জমিতে পানের বরজ স্থাপন করি। বর্তমান বাজারে দাম স্বাভাবিক থাকলেও এই সপ্তাহে প্রায় ১০ হাজার টাকার পান বিক্রি করেছি আমি। যা অন্য আবাদের তুলনায় দ্বিগুন লাভ হয়েছে। সারাবছর সংসারের খরচ মিটিয়েও বছর শেষে সঞ্চয় করতে পারবেন বলে জানান তিনি।

তিনি আরও জানান, প্রতি বিঘায় দেড়শ পিলি পানের আবাদ করা হয়। এক বছর ধরে পানের বরজে পরিচর্যার পর পান উত্তোলন করা হয়। প্রতি ১ পোয়া পান বিক্রি হয় মানভেদে ২৬০০ থেকে ৩০০০ টাকায়।

পানচাষি সারোয়ার হোসেন জানান, একদিন অন্যের মুখাপেক্ষী ছিলাম। কিন্তু এখন আর অন্যের জমিতে কাজ করতে হয় না। এখন আমার পানের বরজে কাজ করে সংসার চালিয়ে বেশ কয়েকজন কৃষি শ্রমিক বেশ সুখে আছে। আমার পান চাষ দেখে লাভের আশায় অনেকেই পান চাষে এগিয়ে আসছেন।

এ ব্যাপারে চারঘাট উপজেলা উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা শামীম রেজা বলেন, পানচাষী সারোয়ার হোসেনকে সার্বিক পরামর্শ দেওয়া হয়। কিছুদিন আগেও তার পানের বরজ পরিদর্শন করেছি। এলাকায় পান চাষ সম্প্রসারণে কৃষকদের প্রশিক্ষণসহ সব ধরনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। অধিক পরিমাণ জমিতে পান চাষ করে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা সম্ভব বলে তিনি মনে করেন।

অন্যান্য ফসলের তুলনায় পানে লাভও বেশি হয়। বাজারের চাহিদার কথা চিন্তা করে, মাটি ও মানুষের স্বাস্থ্য সুরক্ষার দিকে নজর দিয়ে নিরাপদ পান উৎপাদনে কৃষি অফিস সহায়তা করছে কৃষকদের বলেও জানান এই কর্মকর্তা।

 

এগ্রিকেয়ার/এমএইচ