পাবনায় কৃষকের ঘরে ৮০

কালাম আজাদ, পাবনা প্রতিনিধি, এগ্রিকেয়ার২৪.কম:  পেঁয়াজের রাজধানী খ্যাত পাবনায় কৃষকের ঘরে প্রায় ৮০ হাজার মে.টন পেঁয়াজ রয়েছে। জেলায় চলতি বছরে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি পেঁয়াজ উৎপাদন হয়েছে।

পেঁয়াজ চাষে এগিয়ে থাকলেও সঠিকভাবে সংরক্ষণের অভাবে বেশ সমস্যায় পরতে হচ্ছে জেলার কৃষকদের। অনেক পেঁয়াজ নষ্টও হয়ে যায়। এ প্রেক্ষিতে পেঁয়াজ সংরক্ষণের সঠিক ব্যবস্থার দাবি জানিয়েছেন কৃষকেরা।

তবে ভারত থেকে পেঁয়াজ রপ্তানী বন্ধ ঘোষণার খবরে সারা দেশের মতো পেঁয়াজের রাজধানী হিসেবে খ্যাত পাবনাতেও পেঁয়াজের দাম বেড়ে গেছে। বর্তমানে পাবনায় পেঁয়াজ ২৬শ’ত টাকা থেকে ২৭শ’ত টাকা মণ দরে বিক্রি হয়েছে।

তবে প্রশাসনের মনিটরিংয়ে বাজারে পেঁয়াজের ঝাজ কিছুটা নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। আজ শনিবার (১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২০) পেঁয়াজের বাজার কিছুটা কমেছে। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, পাবনায় কৃষকের ঘরে ৮০ হাজার মে.টন পেঁয়াজ মজুদ রয়েছে। তবে সরকারী ভাবে পেঁয়াজ মজুদের কোন ব্যবস্থা নেই।

পাবনা জেলা কৃষি বিভাগ সূত্র জানায়, এ বছর পাবনায় উৎপাদন হয়েছে ৬ লাখ ৪৫ হাজার ৫৮০ টন। উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৫ লাখ ৯৩ হাজার ৩২৩ মেট্রিক টন।

লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে উৎপাদন বেশি হয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি সুজানগর উপজেলায় ২ লাখ ৩৭ হাজার ৩৪০ মেট্রিক টন এবং সাঁথিয়া উপজেলায় ২ লাখ ১০ হাজার ৮০ মেট্রিকটন উৎপাদন হয়েছে। এখনও কৃষকদের ঘরে ৭০ থেকে ৮০ হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজ মজুদ রয়েছে।

এদিকে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের পাবনা জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মোঃ আব্দুস সালাম জানান, মহাপরিচালকে (অতিরিক্ত সচিব) সার্বিক নির্দেশনা ও জেলা প্রশাসকের তত্ত্বাবধানে পাবনায় পেঁয়াজে ভান্ডার খ্যাত সুজানগর বাজার ও কাঁচা বাজার এলাকায় পেঁয়াজের আড়তগুলিতে এবং খুচরা বাজারেও অভিযান চালানো হচ্ছে। এসময় ৮টি প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা আরোপ ও আদায় করা হয়। তাদের এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।

আরও পড়ুন: পেঁয়াজ ছাড়ের অনুমতি দিল ভারত

পাবনা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ আজাহার আলী এগ্রিকেয়ার২৪.কম কে বলেন, পাবনায় এবছর পেঁয়াজের উৎপাদন ভালো হয়েছে। পাবনাতে পেঁয়াজের অভাব নেই। কৃষকের ঘরে এখনো ৭০ থেকে ৮০ হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজ রয়েছে। কিন্তু এক শ্রেণির কৃষক ও ব্যবসায়ী অধিক মুনাফার আসায় মজুদের পাঁয়তাড়া করায় বাজারে দাম বৃদ্ধি পেয়েছে।

পাবনা জেলা প্রশাসক কবীর মাহমুদ জানান, পেঁয়াজের মূল্য বাড়া কমার বিষয়টি নিয়ন্ত্রণ হয়ে থাকে ঢাকায়। তবে পাবনাতে পেঁয়াজের কোনো ঘাটতি নেই। আমরা জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিভিন্ন বাজার মনিটরিং করছি।

তবে পাবনার সচেতন মহলের দাবী পাবনাতে যেহেতু পেঁয়াজ উৎপাদন বেশি হয়। এজন্য এখানে একটা সরকারীভাবে পেঁয়াজ সংরক্ষণের ব্যবস্থা করা হোক।