ডেস্ক প্রতিবেদন, এগ্রিকেয়ার২৪.কম: পুষ্টির নিরাপত্তায় গবেষণার মাধ্যমে উন্নতমানের গবাদিপশু উৎপাদন, পশুখাদ্যের প্রাপ্যতা জরুরি বলে মন্তব্য করেছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী আশরাফ আলী খসরু।
তিনি বলেছেন, পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে দেশে বিভিন্ন খাতে গবেষণার মাধ্যমে উন্নতমানের গবাদিপশু উৎপাদন, পশুখাদ্যের প্রাপ্যতা ও নির্দিষ্ট করা অত্যান্ত জরুরি।
শনিবার (১৮ জানুয়ারি, ২০২০) বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলাদেশ অ্যানিমেল হাজবেন্ড্রি অ্যাসোসিয়েশনের (বাহা) দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী আশরাফ আলী খসরু জাতির মেধা বিকাশে প্রাণিজ আমিষের বিকল্প নেই উল্লেখ করে বলেন, সুস্বাস্থ্য ও মেধায় অগ্রগামী হতে না পারলে, দেশের উন্নয়ন সম্ভব নয়। উন্নয়নের ধারাবাহিতকা ধরে রাখতে উন্নত শিক্ষা ও গবেষণা দরকার।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নের বন্ধন দৃঢ় করার লক্ষ্যে এ্যানিম্যাল হাজবেন্ড্রী গ্র্যাজুয়েটদের কর্মক্ষেত্র মানোন্নয়নে নতুন নতুন প্রযুক্তির উদ্ভাবন করার সর্বক্ষেত্রে পালন করতে হবে।
এসময়ে তিনি দেশের প্রাণিজ আমিষের একটি বড় অংশ পোলট্রি সেক্টর থেকে আসে উল্লেখ করে বলেন, প্রাণিজ আমিষের অন্যতম মাধ্যম ডেইরি খাত তুলনামূলকভাবে পিছিয়ে আছে।
এ সময়ে তিনি জানান, ডেইরি সেক্টরের উন্নয়নে বড় একটি উন্নয়ন প্রকল্প চলমান রয়েছে। প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে দেশে দুধের ঘাটতি মেটানো সম্ভব হবে।
অনুষ্ঠানে বাহা’র সভাপতি এবং পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য অধ্যাপক ড. সৈয়দ সাখাওয়াত হোসেনের সভাপতিত্ব করেন।
বিশেষ অতিথি ছিলেন পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য মো. জাকির হোসেন আকন্দ, পশুপালন অনুষদের ডিন এবং বাকৃবি ডিন কাউন্সিলের আহবায়ক অধ্যাপক ড. মো. নুরুল ইসলাম, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. আব্দুল জব্বার শিকদার এবং বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. নাথু রাম সরকার। প্রধান পৃষ্ঠপোষক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাকৃবির ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. জসিমউদ্দিন খান।
সম্মেলনের টেকনিক্যাল সেশনে ৫০টি গবেষণাপত্র উপস্থাপন করেন গবেষকরা। পশুপুষ্টি বিভাগের অধ্যাপক ড. খান মো. সাইফুল ইসলাম ‘বাংলাদেশে নিরাপদ প্রাণিজ আমিষ উৎপাদনের দৃষ্টিভঙ্গি’ শীর্ষক মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।
মূল প্রবন্ধে গত ১০ বছরে বাংলাদেশে মানুষের খাদ্যাভ্যাসের সাথে প্রাণিসম্পদেরও আমূল পরিবর্তন এসেছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
এ গবেষক বলেন, দেশে প্রাণিসম্পদের পরিমান প্রায় ২৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। দুধ, ডিম ও মাংসের উৎপাদন প্রায় পাঁচ গুন বৃদ্ধি পেয়েছে। বর্তমানে দেশের মানুষ মাথাপিছু গড়ে প্রতিদিন ১৬৫ মিলিলিটার দুধ, ১২৫ গ্রাম মাংস এবং বছরে ১০৪ টি ডিম খেতে পারছে।
পুষ্টির নিরাপত্তায় গবেষণার মাধ্যমে উন্নতমানের গবাদিপশু উৎপাদন, পশুখাদ্যের প্রাপ্যতা জরুরি প্রধান অতিথির এমন মন্তব্যের সাথে উপস্থিত সবাই একমত পোষণ করেন।
আরও পড়ুন: গত দশকে পোল্ট্রি ও ডেইরি খাতে অভাবনীয় সাফল্য এসেছে; কৃষিমন্ত্রী
