পুষ্টি ও নিরাপদ খাদ্য

নাহিদ বিন রফিক (বরিশাল), এগ্রিকেয়ার২৪.কম: পুষ্টি ও নিরাপদ খাদ্য উৎপাদন পূরণে ভাসমান পদ্ধতি অন্যতম উৎস হতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. নাসিরুজ্জামান। এসময়ে তিনি ধান ছাড়া অন্য ফসলের চাষাবাদ বৃদ্ধির তাগিদ দেন।

আজ শনিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২০) বরিশালের রহমতপুরস্থ আঞ্চলিক কৃষি গবেষণা কেন্দ্রে ভাসমান কৃষির আধুনিক প্রযুক্তির ওপর অনুষ্ঠিত কৃষক মাঠ দিবসে তিনি এ মন্তব্য করেন।

ভাসমান বেডে সবজি ও মসলা চাষ গবেষণা, সম্প্রসারণ ও জনপ্রিয়করণ প্রকল্প আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে কৃষি সচিব মো. নাসিরুজ্জামান বলেন, ইতেমধ্যেই আমরা ধানে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়েছি। এখন দরকার অন্য ফসলের দিকে বেশি নজর দেওয়া। এরই অংশ হিসেবে সবজির চাষাবাদ আরো বাড়ানো প্রয়োজন।

তিনি বলেন, যেহেতু পুষ্টি ও নিরাপদ খাবার উৎপাদন বর্তমান সরকারের রাজনৈতিক অঙ্গিকার। আর তা পূরণে ভাসমান পদ্ধতি হতে পারে অন্যতম উৎস।

বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বারি) মহাপরিচালক ড. মো. আব্দুল ওহাবের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বারির পরিচালক (পরিকল্পনা ও মূল্যায়ন) ড. মো. নাজিরুল ইসলাম এবং কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক মো. আফতাব উদ্দিন।

বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. মাহবুবুর রহমানের সঞ্চালনার অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন আঞ্চলিক কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মুহাম্মদ সামসুল আলম, প্রকল্প পরিচালক ড. মো. মোস্তাফিজুর রহমান তালুকদার, প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. আলিমুর রহমান, নাজিরপুরের কৃষক মো. ইব্রাহিম প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে কৃষি সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ৫০ জন কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন। সে সাথে বানারীপাড়া, উজিরপুর, নেছারাবাদ ও নাজিরপুর হতে আসা শতাধিক কৃষাণ-কৃষাণী অংশগ্রহণ করেন।

এর আগে তিনি একই ক্যাম্পাসে ভাসমান কৃষি বিষয়ক গবেষণা কর্মসূচি প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন শীর্ষক ৪ দিনব্যাপী ৬০ জন বিজ্ঞানীদের প্রশিক্ষণের উদ্বোধন করেন।

পুষ্টি ও নিরাপদ খাদ্য উৎপাদন পূরণে ভাসমান পদ্ধতি অন্যতম উৎস এমন মতের সাথে উপস্থিত সবাই এক মত প্রকাশ করেন।

আরও পড়ুন: এ সময়ের বৃষ্টিতে আমের মুকুলের ক্ষতি এড়াতে যা করতে হবে