ফসল ডেস্ক, এগ্রিকেয়ার২৪.কম: ময়মনসিংহের সরিষাবাড়ীতে ফসলের নিবিড়তা বৃদ্ধিকরণ প্রকল্পে সবজি চাষ করছেন কৃষকরা। তাতে লাভবান হচ্ছেন তারা।

উপজেলার পোগলদিঘা ইউনিয়নের চর পোগলদিঘা গ্রামের মৃত মমতাজ আলীর ছেলে নুরুল ইসলাম সেলিম। তিনি প্রতি বছরই সবজি চাষ করেন। এবারও প্রকল্প আকারে সবজি চাষে মোটা অংকের মুনাফা অর্জন করেছেন।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, চর পোগলদিঘা গ্রামের কৃষক সেলিম বৃহত্তর ময়মনসিংহ অঞ্চলের ফসলের নিবিড়তা বৃদ্ধিকরণ প্রকল্পের আওতায় ৬ বিঘা জমিতে টমেটো, করলা, শসা, বেগুন, মিষ্টিকুমড়া, লাউ, লালশাক, ধনিয়া, রসুন, পাটশাক, পেপে, মাল্টা, পেঁয়াজ, আদা, হলুদ চাষ করে সফল ও লাভবান হয়েছেন।

জীবন-জীবিকায় ফিরে এসেছে স্বচ্ছলতা। তার এই সফলতা দেখে আশপাশের কয়েকজন কৃষক তার কাছ থেকে পরামর্শ নিয়ে বিভিন্ন সবজি চাষসহ অন্যান্য শীতকালীন আবাদে ঝুঁকছেন। প্রতিদিন ভোরে সেলিম ছুটে যান তার সবজি ক্ষেতে। সবজি দেখে বাড়ছে তার স্বপ্নপূরণের আশা। তার দেখাদেখি অনেক কৃষক প্রকল্প আকারে সবজি চাষে লাভবান হচ্ছেন।

নুরুল ইসলাম সেলিম বলেন, এবার শাকসবজি চাষে বাম্পার ফলন হয়েছে। এ বছরও উপজেলা কৃষি অফিসের পরামর্শ ও সহযোগীতায় ৬ বিঘা জমিতে বিভিন্ন ধরনের শাকসবজি চাষ করেছি। ৬ বিঘা জমিতে খরচ হয়েছে ১ লাখ ৮০ হাজার। এসব সবজি বিক্রি করে পুরো খরচ বাদ দিলে বিঘাপ্রতি ৪৫ থেকে ৫০ হাজার টাকা লাভ হবে বলে আশা করি।

উপজেলা উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা শারমীন আক্তার বলেন, বৃহত্তর ময়মনসিংহ অঞ্চলের ফসলের নিবিড়তা বৃদ্ধিকরণ প্রকল্প এলে আমরা একটি প্রকল্প কৃষক সেলিমকে দিই।

এ প্রকল্পের বেগুন, টমেটো, মিষ্টিকুমড়াসহ বিভিন্ন শাকসবজি আবাদ করা সহজতর। এ অঞ্চলের মাটি সবজি চাষের উপযোগী। উপজেলা কৃষি অফিস থেকে সবসময় মাঠ পর্যায়ে কৃষকদের তদারকি ও বিভিন্ন প্রযুক্তির মাধ্যমে পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। এবারও বাম্পার ফলন হয়েছে। দাম ভালো থাকায় কৃষক লাভবান হচ্ছে। প্রকল্প আকারে সবজি চাষে লাভবান কৃষকরা সংবাদের তথ্য বার্তা বাজার থেকে নেওয়া হয়েছে।

এগ্রিকেয়ার/এমএইচ