অর্থ-বাণিজ্য ডেস্ক, এগ্রিকেয়ার২৪.কম: হিলি স্থলবন্দর দিয়ে দেশে ঢুকছে ভারতীয় পেঁয়াজ। আমদানি বাড়ার কারণে দেশী ও আমদানি করা মসলা জাতীয় এ পণ্যের দাম কমতে শুরু করেছে। দু-সপ্তাহ আগে প্রতিকেজি ২৮-৩২ টাকা কেজি দরে বিক্রি হলেও সে তুলনায় এখন দাম কমেছে ৮-১০ টাকা।

বন্দর কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, হিলি দিয়ে ইন্দোর, নাসিক, গুজরাট, নগর জাতের পেঁয়াজ আমদানি অব্যাহত রয়েছে। বন্দরে ইন্দোর জাতের প্রতিকেজি পেঁয়াজ (ট্রাকসেল) ২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। আগে তা ২৪ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে।

পড়তে পারেন: ঘরোয়া উপায়ে দীর্ঘদিন পেঁয়াজ সংরক্ষণ কৌশল

এছাড়া নাসিক, গুজরাট, নগর জাতের পেঁয়াজ ২৬ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। আগে তা ২৮ টাকা দরে বিক্রি হয়েছিল। এদিকে হিলির খুচরা বাজারে প্রতিকেজি ভারতীয় পেঁয়াজ ২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। আর দেশীয় পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকা দরে। এছাড়া দু-সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে কমেছে ১০ টাকা।

বর্তমানে বন্দরে পাইকারিতে প্রতিকেজি পেঁয়াজ প্রকারভেদে ২০-২৬ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। দু’দিন আগেও তা ২৪-২৮ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে।

হিলি স্থলবন্দরের জনসংযোগ কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন বলেন, বন্দর দিয়ে পেয়াজের বাড়তি আমদানির ধারা অব্যাহত রয়েছে। পুর্বে বন্দর দিয়ে গড়ে প্রতিদিন ২৫ থেকে ৩০ ট্রাক পেয়াজ আমদানি হলেও এখন তা বেড়ে ৩৫ থেকে ৪০ট্রাক করে পেয়াজ আমদানি হচ্ছে। সোমবার বন্দর দিয়ে ৪১টি ট্রাকে ১হাজার ১৭৫টন পেয়াজ আমদানি হয়েছে। পেয়াজ কাঁচামাল হওয়ায় এটি সকল প্রক্রিয়া সম্পুর্ন করে দ্রুত খালাসের জন্য সবধরনের ব্যবস্থা রেখেছে কতৃপক্ষ।

পড়তে পারেন: পেঁয়াজ উৎপাদনে বিশ্বে তৃতীয় বাংলাদেশ

ক্রেতা নুরুল ইসলাম বলেন, দু-সপ্তাহ আগে প্রতিকেজি ২৮-৩২ টাকা কেজি দরে বিক্রি হলেও সে তুলনায় এখন দাম কমেছে।  তারও আগে পেঁয়াজের দাম বেড়ে ৬০ টাকার মতো হয়েছিল। এখন অবশ্য দাম অনেকটাই স্বাভাবিক। দু’দিন আগে যে পেয়াজ ২৫-২৬ টাকা নিয়ে গেছে, আজ সেই পেঁয়াজ কিনলাম ২০ টাকা দরে। রমজানেও কম দাম থাকবে ধারণা করা হচ্ছে।

বিক্রেতা মনিরুল আলম বলেন, আগে চাহিদা থাকলেও বন্দর দিয়ে আমদানি কম থাকায় দেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম বাড়তির দিকে ছিল। এখন বন্দর দিয়ে প্রচুর পরিমাণে পেঁয়াজ আসছে। এত দাম অনেক কমেছে। আমাদের হিলি বাজারে যেসব পেঁয়াজ বিক্রি হয় তা মূলত বন্দরের ব্যালেন্স পেঁয়াজ। এ কারণে দাম তুলনামূলক একটু কম থাকে। এছাড়া দেশীয় পেঁয়াজের দামও অনেক কমেছে।

এদিকে ব্যবসায়ী সেলিম হোসেন  বলেন, পেঁয়াজের আইপির মেয়াদ চলতি মাসের মার্চ পর্যন্ত। এ কারণে আমদানি নিয়ে শঙ্কায় রয়েছেন ব্যবসায়ীরা। তাই দেশে পেঁয়াজের সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে ও দাম নিয়ন্ত্রনে রাখতে আমদানির সময়সীমা বাড়ানোর দাবী জানিয়েছেন তারা।

এগ্রিকেয়ার/এমএইচ