ফাইল ছবি

নিজস্ব প্রতিবেদক, এগ্রিকেয়ার২৪.কম: ফাতেমা জাতের ধান বীজ বিষয়ে বাংলাদেশ ধানগবেষণা কেন্দ্র (ব্রি) চাষিদের জন্য সতর্কবার্তা জানিয়েছে।

ব্রি জানায়, ফাতেমা জাতের ধানটি হাইব্রিডের একটি সেগ্রিগেটেড লাইন। এ জাতের ধারাবাহিক ভালো ফলনের নিশ্চয়তা নেই। এটি বাংলাদেশের কৃষি বিজ্ঞানীগন গবেষনা করে কোন জাত হিসেবে এখনো স্বীকৃতি দেননি।

সুতরাং অনুমোদনবিহীন কোন বীজ বাণিজ্যিকভাবে বিক্রি করা বীজ আইন-২০১৮ অনুযায়ী বিধি সম্মত নয়। তাছাড়া বিগত বছরগুলোতে এধান চাষ করে অনেকেই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। এজাত হাইব্রিড থেকে এসেছে, যা এখনও গবেষনাধীন আছে।এতে কুশী কম ও উচু নিচু হয়, চিটা বেশী, ভাত সুস্বাদু নয় এবং ভাত রেখে দিলে নরম হয়ে যায়। কাজেই এধান চাষ করার আগে ভাল করে ভেবে নিন।

বাংলাদেশ ধানগবেষণা কেন্দ্রের পরিক্ষীত জাতের উল্লেখ করে জানায়, ফাতেমা ধানের চেয়ে উচ্চ ফলনশীল ব্রি ধান৬৭, ৭৪, ৮৮, ৮৯, ৯২, ৯৬ এসব জাত চাষ করা অনেক ভাল। এগুলো বোরো মৌসুমের উচ্চ ফলনশীল ও পরীক্ষিত জাত।

ফাতেমা জাতের ধান বীজ বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ ধানগবেষণা কেন্দ্র রাজশাহীর পিএসও ও অফিস প্রধান ড. মো: ফজলুল ইসলাম এগ্রিকেয়ার২৪.কমকে বলেন, ফাতেমা ধান আসলে যতখানি প্রচার-প্রচারণা হয়েছে তা মোটেও সত্যি নয়। যদিও বিঘায় ৫০ মণ হিসেবে ফলন বলা হয়েছে তা কোন হিসেবেই মেলেনা। নওগাঁর মান্দায় ফাতেমা ধান নিয়ে বেশ চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছিল তা আমি নিজে গিয়েছি। ছড়ায় ৪০০-৫০০ টি ধান থাকতে পারে। তবে, প্রতি গোছায় শীষের পরিমাণ অল্প। তাতে ফলন হিসেব করা যায় না।

চাষিদের জন্য পরামর্শ হলো- এ ধান চাষ করার জন্য ব্রি’র অনুমতি নেই। তাছাড়া বিগত বছরগুলোতে এধান চাষ করে অনেকেই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। এজাত হাইব্রিড থেকে এসেছে, যা এখনও গবেষনাধীন আছে। ফলে চাষিরা এ জাত চাষ করার আগে সতর্ক হওয়া উচিৎ।

এগ্রিকেয়ার/এমএইচ