ফসল ডেস্ক, এগ্রিকেয়ার২৪.কম: ফুলকপি আমাদের দেশের শীতকালীন সবজির মধ্যে অন্যতম। পুষ্টি সমৃদ্ধ সবজি ফুলকপি চাষে সফলতা পেতে হলে অবশ্যই সঠিক সময়ে সঠিকভাবে রোগ বালাই দমন করতে হবে। কার্ড পচা রোগ ফুলকপির মারাত্নক ক্ষতি করে।

চলুন জেনে নেওয়া যাক  ফুলকপির কার্ড পচা রোগের কারণ ও প্রতিকার সম্পর্কে:

ফুলকপির কার্ড পচা রোগ: 
কারণ: এ রোগ ফিউজেরিয়াম ইকোইজিটি ও অলটারনেরিয়া প্রজাতির ছএাক এবং আরউইনিয়া কেরোটোভোরা নামক ব্যাকটেরিয়ার আক্রমণে হয়। এ রোগের আক্রমণের কারণে ফুলকপির সম্পূর্ণ ফুল নষ্ট হয়ে যায় বা খাওয়ার অনুপযোগী হয়ে পড়ে। এতে কৃষকের অনেক ক্ষতি হয়।

আরও পড়ুন: ফুলকপি ও বাঁধাকপির রোগবালাই দমনে করণীয়

ক্ষতির ধরণ: ফুলকপির কার্ডে বা ফুলে প্রথমে বাদামী রং এর গোলাকৃতি দাগ দেখা যায় পরে একাধিক দাগ মিশে বড় দাগ তৈরি করে। ব্যাকটেরিয়ার আক্রমণে কার্ডে দ্রুত পচন ধরে এবং ফুল নষ্ট হয়ে যায়। আক্রান্ত কার্ড বা মাথা থেকে খুব কম পুষ্পমুঞ্জরী বের হয় এবং ইহা খাওয়ার অযোগ্য হয়ে যায়।

প্রতিকার:
১. এ রোগের আক্রমণ হতে বাঁচতে প্রথমে সুস্থ গাছ থেকে বীজ সংগ্রহ করতে হবে। প্রতি কেজি বীজে ২.৫ গ্রাম হারে প্রোভ্যাক্স বা কাবেন্ডাজিম দিয়ে বীজ শোধন করতে হবে।

২. ইপ্রোডিয়ন এবং কার্বেন্ডাজিম ছত্রাক নাশক প্রতিটি আলাদা ভাবে ০.২ % হারে মিশে ১২-১৫ দিন পর পর স্প্রে করতে হবে। তবে ঔষধ প্রয়োগের ৫ দিন পর্যন্ত ফসল তোলা যাবে না।

আরও পড়ুন: জেনে নিন ফুলকপির গুনাগুণ ও উপকারিতা

৩. ফুলকপি চাষের একই জমিতে বার বার কপি জাতীয় ফসল চাষ করা যাবে না। আক্রান্ত খেতে থেকে বীজ সংগ্রহ করা যাবে না। লাল মাটি বা অম্লীয় মাটির ক্ষেত্রে শতাংশ প্রতি চার কেজি হারে ডলোচুন প্রতি তিন বছরে একবার প্রয়োগ করতে হবে।

প্রয়োজন হলে উপজেলা কৃষি অফিসে কৃষিবিদদের পরামর্শানুযায়ী কীটনাশক প্রয়োগ করতে হবে। ফুলকপির কার্ড পচা রোগের কারণ ও প্রতিকার শিরোনামে লেখাটি লিখিছেন কৃষি ডিপ্লোমা কৃষিবিদ ও উদ্যোক্তা জিয়াউল হক। লেখাটি জাগো নিউজ থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে।

এগ্রিকেয়ার / এমবি