নাহিদ বিন রফিক, এআইএস কর্মকর্তা, বরিশাল, এগ্রিকেয়ার২৪.কম: ৫০ জন কৃষকের প্রত্যেককে ১০টি করে বারি উদ্ভাবিত বিভিন্ন ফল গাছের চারা বিতরণ করা হয়েছে। আধুনিক পদ্ধতিতে ডাল ফসল উৎপাদনের কৌশল বিষয়ক এক কৃষক প্রশিক্ষণ উদ্বোধন করা হয়।

অনুষ্ঠানে দুটিতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিভাগীয় কমিশনার (অতিরিক্ত সচিব) মুহাম্মদ ইয়ামিন চৌধুরী। গত ২৫ আগস্ট বরিশালের রহমতপুর আঞ্চলিক কৃষি গবেষণা কেন্দ্রে চাষিদের মাঝে ফলগাছের চারা বিতরণ করা হয়।



প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, কৃষি উন্নয়ন মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম প্রাপ্তি। স্বাধীনতার আগে সাড়ে সাত কোটি লোকের খাদ্য যোগাতেই তখন হিমশিম খেতে হতো। এখন মানুষ বেড়ে কয়েকগুণ হলেও খাবারের কোনো অভাব নেই।

আর তা সম্ভব হয়েছে ফসলের উন্নত জাত উদ্ভাবন এবং কৃষক পর্যায়ে সম্প্রসারণের কারণে। এরই ফলশ্রুতিতে আমরা প্রচুর পরিমাণে সবজি ও ফল খাচ্ছি।

তিনি আরো বলেন, যেহেতু কৃষির সার্বিক অবস্থা এখন স্বস্তিদায়ক পর্যায়। তাই যেসব ফসল চাষে লাভ বেশি সে দিকেই আমাদের মনোনিবেশ দেয়া দরকার।

তিনি বলেন, অন্যের ক্ষতি হয় সে ধরনের বৃক্ষ না রেখে বহুগুণে গুণান্বিত এমন গাছ রোপণ করতে হবে। পরিবর্তিত কৃষির সাথে খাপখাওয়াতে হলে নতুন কিছু গ্রহণ করতে হবে। এ বিষয়ে কৃষকদের করতে হবে উৎসাহিত।

প্রতিষ্ঠানের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মুহাম্মদ সামসুল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক সাইনুর আজম খান এবং ডাল গবেষণা কেন্দ্রের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. সালেহ উদ্দিন।

অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ভাসমান বেডে সবজি ও মসলা চাষ গবেষণা, সম্প্রসারণ ও জনপ্রিয়করণ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক ড. মো. মোস্তাফিজুর রহমান তালুকদার, প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. গোলাম কিবরিয়া, বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো. রাশেদুল ইসলাম প্রমুখ।

পরে প্রধান অতিথি ৫০ জন কৃষকের প্রত্যেককে ১০টি করে বারি উদ্ভাবিত বিভিন্ন ফল গাছের চারা বিতরণ করেন। এর আগে প্রধান অতিথি আধুনিক পদ্ধতিতে ডাল ফসল উৎপাদনের কৌশল বিষয়ক এক কৃষক প্রশিক্ষণ উদ্বোধন করেন।

অনুষ্ঠানে ঊধর্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. আলিমুর রহমান, বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মাহবুবুর রহমান, অঞ্জন কুমার দাস এবং কষি তথ্য সার্ভিসের কর্মকর্তা নাহিদ বিন রফিকসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।