ফসল ডেস্ক, এগ্রিকেয়ার২৪.কম: বাঁধাকপি চাষে কৃষক ভাইয়েরা অনেক সময় আশানুরুপ ফলন পান না। কোন না কোন সমস্যার কারণেই এমনটি হয়ে থাকে। পরিশ্রমের ফসলে ফলন না হলে লোকসান গুণতে হয়। তাই দেখে বাঁধাকপি চাষে সফলতা পেতে যেসব কৌশল অবলম্বন করবেন।

যে কোনো ফসলে সফলতা পেতে দরকার সঠিক সময়ে সঠিক পদক্ষেপ। পাশাপাশি কোনো ধরণের মাটি ও জলবায়ু উপযোগী ওই ফসলের জন্যে তাও জানা জরুরি। এখন সময় সবজিটি চাষের।

জলবায়ু  মাটি: প্রায় সব ধরনের মাটিতে বাঁধাকপি জন্মানো যায়। তবে দোআঁশ ও পলি দোআঁশ মাটি উত্তম।

জমি তৈরি: গভীর চাষ দিয়ে মাটির ঢেলা ভেঙ্গে আগাছা পরিষ্কার করে ভালভাবে বাঁধাকপির জন্য জমি তৈরি করতে হবে।

চারা রোপণ: বীজ বপনের ৩০-৩৫ দিন পর চারা রোপণের উপযুক্ত হয়। উত্তমরূপে জমি তৈরি করার পর ১৫-২০ সেমি উঁচু ১ মিটার প্রশস্ত বেড তৈরি করতে হয়। পাশাপাশি ২টি বেডের মাঝখানে ৩০ সেমি প্রশস্ত নালা রাখতে হবে। বেডের উপর ৬০ সেমি দূরত্বে ২টি সারি করে সারিতে ৪৫ সেমি দূরে দূরে চারা লাগাতে হয়।

বপনের সময়: ভাদ্র আশ্বিন (মধ্য আগস্ট থেকে মধ্য অক্টোবর ) থেক শুরু করে কার্তিক (মধ্য অক্টোবর থেকে মধ্য নভেম্বর) পর্যন্ত বারি বাঁধাকপি চারা রোপণ করা যেতে পারে। অগ্রহায়ণ মাসে (মধ্য নভেম্বর থেকে মধ্য ডিসেম্বর) রোপণ করলে মাথা তেমন বাঁধে না ও অকালে ফুল এসে যায়।

সারের পরিমাণ/সারের নাম: সারের পরিমাণ/হেক্টর, ইউরিয়া ৩০০-৩৫০ কেজি, টিএসপি ২০০-২৫০ কেজি, এমপি ২৫০-৩০০ কেজি, গোবর ৫-১০ টন।

সার প্রয়োগ পদ্ধতি: শেষ চাষের সময় সবটুকু গোবর বা কম্পোস্ট , টিএসপি ও ১০০ কেজি এমপি সার জমিতে সমানভাবে ছিটিয়ে মাটির সাথে মিশিয়ে দিতে হবে। সম্পূর্ণ ইউরিয়া ও বাকি এমপি সার ৩ কিস্তিতে চারা রোপণের ১০,২৫ এবং মাথা বাঁধার সময় প্রয়োগ করতে হবে।

পানি সেচ: উচ্চ ফলনের জন্য বাঁধাকপিতে চারা রোপণের ২০-৩০ দিন পর পর ২-৩টি সেচ দিতে হবে।

অন্তর্বর্তীকালীন পরিচর্যা: গাছের স্বাভাবিক বৃদ্ধির জন্য জমি আগাছমুক্ত রাখতে হবে। চারা রোপণের পর মাটি ঝুরঝুরে রাখতে হবে। এজন্য মাঝে মাঝে বিশেষ করে পানি সেচ দেওয়ার পর জমিতে ‘জো’ আসলে কোদাল দ্বারা হালকা কোপ দিয়ে মাটির উপরের আস্তরণ ভেঙ্গে দিতে হবে।

এগ্রিকেয়ার/এমএইচ