নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী: রাজশাহীর বাজারে এসেছে শীতের আগাম সবজি। মৌসুম শুরুর কয়েকদিন আগেই বাজারে এসেছে মুলা,ফুলকপি, বাধাকপি, পালংশাক, শিমসহ শীতকালীন বিভিন্ন ধরনের শাকসবজি। ভালো দামে বিক্রি হওয়ায় খুশি চাষিরা। এদিকে সপ্তাহের ব্যবধানে কাঁচামরিচের কেজিতে দাম বেড়েছে ১৫ থেকে ২০ টাকা ও ডিমের হালিতে বেড়েছে ২ টাকা।

বিক্রেতারা বলছেন, গত সপ্তাহের চেয়ে কাঁচামরিচের দাম বেড়েছে কেজিতে ৮০ টাকা। আরও বেড়েছে শীতের সবজি ফুল কপি প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮০-৯০ টাকায় । শশাতে দাম বেড়েছে ১০ টাকা বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা কেজিতে।

শনিবার (৫ নভেম্বর) রাজশাহীর সাহেব বাজার, উপশহর নিউমার্কেট ও লক্ষীপুর বাজার ঘুরে পাইকারী ও খুচরা বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।

বাজার ঘুরে দেখা গেছে, টমেটোর কেজি ১৪০, গাজর ৯০ টাকা এবং বরবটি বিক্রি হচ্ছে ৪০-৫০ টাকায়। এ সবজিগুলো কয়েক সপ্তাহ ধরেই এমন দামে বিক্রি হচ্ছে। এদিকে আলুর কেজি ২৫ টাকা, শসা ৮০ টাকা, করলা ৬০ টাকা, ঢেঁড়স ৩৫-৪০ টাকা, কাঁচা পেঁপে ২৫-৩০ টাকা, চিচিঙ্গা ৬০ টাকা, ঝিংগা ৬০ টাকা, কাঁকরোল ৬০ টাকা, পটল ৩৫-৪০ টাকা, লাউ পিচ ৪০ টাকা, বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া বাজারে দেখা মিলেছে লাল, হলুদ, সবুজ ক্যাপসিকামের। সবুজ ক্যাপসিকাম আড়াইশ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। হলুদ ও লাল ক্যাপসিকাম ৩০০ টাকা কেজি।

সাহেব বাজারের সবজি ব্যবসায়ী জামাল বলেন, পাইকারী বাজারের সঙ্গে সামৃঞ্জস্য রেখে সবজি বিক্রি করি। পাইকারী বাজারে দাম বেশি থাকলে খুচরা বাজারেও দাম বেশি থাকে। গত সপ্তাহের তুলনায় কাঁচামরিচের সঙ্গে ফুলকপির দাম ও বেড়েছে। তবে রাজশাহীর বাজারে অন্য সবজির দাম ঠিক আছে।

সবজি ক্রেতা নাসিমউজ্জামান বলেন, বাজারে নাগালের বাইরে রয়েছে বেশির ভাগ সবজির দাম। আর পাইকারী বাজারের চেয়ে খুচরা বাজারে দামের তফাতও অনেক বেশি। এই বিষয়টা প্রশাসনের দেখা দরকার।

অন্যদিকে বয়লার মুরগির দাম ১০ টাকা কমে ১৬৫ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। সোনালী মুরগি ২৯০-৩০০ টাকা এবং লাল লেয়ার মুরগি ২৫০-২৭০ টাকা কেজি। দেশী মুরগি ৪২০ টাকা এবং হাঁস বিক্রি হচ্ছে ৪২০ টাকা কেজি । গত সপ্তাহে ডিমের দাম হালিতে ২ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে লাল ডিম ৪২ টাকায়। আর সাদা ডিমের হালি ৪০ টাকা।

এগ্রিকেয়ার/এমএইচ