নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা: শীতের শুরুতে কমেছে বিভিন্ন সবজির দাম। এছাড়া ব্রয়লার মুরগির দামও বাড়েনি। বাজারে লেয়ার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২৮০ টাকা এবং ডিমের দাম সহনীয় পর্যায়ে এসেছে। বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা হালি।

শুধু সবজিই নয়, কমেছে দেশি ও ক্রস জাতের পেঁয়াজের দাম। প্রতি কেজি পেঁয়াজে দাম কমেছে ১০ থেকে ২০ টাকা। শনিবার (১৮ নভেম্বর) কারওয়ান বাজার, হাতিরঝিল, মগবাজারসহ ভিন্ন কাঁচা বাজারে দেখা যায় নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম কিছুটা কমেছে।

কারওয়ান বাজারে সরেজমিনে দেখা গেছে, শীতকালীন সবজি শিম ৬০ টাকা, শালগম ৬০, পেঁপে ৪০, পটল ৬০, মিষ্টিকুমড়া ৫০, ঢ্যাঁড়শ ৬০, চিচিঙ্গা ৬০, ধুন্দল ৬০, বরবটি ৮০, কচুর লতি ৬০, কচুরমুখী ৮০, কাঁচামরিচ ১৬০ ও ধনেপাতা ২০০ কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

এছাড়া কাঁচা টমেটো ৮০, টমেটো ১৪০, পেঁয়াজ পাতা ৯০ থেকে ১২০, মুলা ৬০, গাজর ১০০, লম্বা বেগুন ৬০, সাদা গোল বেগুন ৬০, কালো গোল বেগুন ৮০, শসা ৬০ থেকে ৮০, করলা ৬০, উচ্ছা ৬০, লাউয়ের পিস ৬০ টাকা, ফুলকপি ৪০ থেকে ৫০, বাঁধাকপি ৪০ টাকা ও চালকুমড়া ৬০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, শীতকালীন সবজির দাম কমেছে। আরো কমবে। বাজারে আমদানি ভরপুর হলে দাম কমে।

কারওয়ান বাজারের সবজি বিক্রেতা রাকিব হাসান বলেন, আগের মতো আর দাম নাই। আগে বেগুন বিক্রি করেছি যে দামে তারচেয়ে এখন ৪০ টাকা কেজিতে কমেছে। এছাড়া পটল, টমেটোসহ সবকিছুরই দাম কমেছে। শীতের সবজি নতুন উঠেছিল বলে দাম কিছুটা বেশি ছিল। এখন নতুন সবজির দামও কমে আসছে।

তুলনামূলক কমেনি ভারতীয় পেঁয়াজের দাম। বাজারে মানভেদে দেশি পেঁয়াজ ১১৫ থেকে ১২০ টাকা, ক্রস জাতের পেঁয়াজ ১১০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে দেখা যায় আজকে দেশি পেঁয়াজ ১০ টাকা এবং ক্রস জাতের পেঁয়াজ ২০ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে। তবে ভারতীয় পেঁয়াজ এখনও ১০০ টাকা দরেই বিক্রি হচ্ছে।

সরকারের আলু আমদানির সিদ্ধান্ত বাজারে তেমন কোনও প্রভাব ফেলতে পারেনি। গত সপ্তাহের মতো লাল ও সাদা আলু ৫০ টাকা দরেই বিক্রি হচ্ছে। সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী প্রতিকেজি পেঁয়াজের সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য ৬৪ থেকে ৬৫ টাকা। আলু কেজিতে ভোক্তা পর্যায়ে ৩৫ থেকে ৩৬ টাকা ও কোল্ড স্টোরেজ থেকে ২৬ থেকে ২৭ টাকা হওয়ার কথা। তবে রাজার গরু কাগজে আছে গোয়ালে নেই।

অন্যদিকে মসলা জাতীয় পণ্যের দাম চড়া। আমদানি করা আদা ২০০ থেকে ২২০ টাকা, দেশি রসুন ২০০ টাকা, চায়না রসুন ১৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

মাছের বাজারে দেখা যায় ইলিশের দামে আগুন। বিক্রেতারা বলছেন- প্রজনন মৌসুমে ইলিশ ধরা বন্ধ থাকার কারণে বাজারে একটা টান পড়েছে। বাজারে মানভেদে ইলিশ ৬৫০ থেকে ২ হাজার টাকা কেজি, রুই ৩৮০ থেকে ৭০০, কাতল ৪০০ থেকে ৫০০, কালিবাউশ ৪০০ থেকে ৬০০, চিংড়ি ৮০০ থেকে ১০০০, কাঁচকি ৫০০ থেকে ৬০০, কই ৩৫০ থেকে ৮০০, পাবদা ৭০০, শিং ৫০০ থেকে ৬০০, বেলে ৬০০ থেকে ১০০০, টেংরা ৭০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

মুরগির বাজারে দেখা যায়, ব্রয়লার মুরগি ১৫৮ থেকে ১৮০ টাকা, কক মুরগি ২৫৮ থেকে ২৭০, লেয়ার মুরগি ২৮০, দেশি মুরগি ৫৫০ ও গরুর মাংস ৭৫০ থেকে ৭৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া প্রতি ডজন লাল ডিম ১২০ টাকা ও সাদা ডিম ১১৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

এগ্রিকেয়ার/এমএইচ/২০২৩