বারি-১৪ ও বারি-১৫ জাতের

ফসল ডেস্ক, এগ্রিকেয়ার২৪.কম: ফলন আশাব্যঞ্জক হওয়ায় উচ্চ ফলনশীল বারি-১৪ ও বারি-১৫ জাতের সরিষা অধিক লাভজনক বলে জানিয়েছেন চুয়াডাঙ্গা ডিএই উপপরিচালক কৃষিবিদ মো. আলী হাসান। এসময়ে তিনি জাত দুটি অধিক চাষাবাদের পরামর্শ দিয়েছেন।

২০১৯-২০ অর্থবছরের রাজস্ব খাতের অর্থায়নে বাস্তিবায়িত প্রদর্শনীর বারি সরিষা-১৪ জাতের প্রচার ও সম্প্রসারণের লক্ষ্যে অনুষ্ঠিত এক মাঠ দিবসে তিনি এ তথ্য তুলে ধরেন।

মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২০ আলমডাঙ্গা উপজেলার কুমারী গ্রামে চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর (ডিএই) এ মাঠ দিবসের আয়োজন করেছে। মূলত সরিষা ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধি করাই ছিল এ মাঠ দিবসের মূল উদ্দেশ্য।

মাঠ দিবসে আলমডাঙ্গা উপজেলার কুমারী ইউনিয়নের ইউপি সদস্য মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা ডিএই উপপরিচালক কৃষিবিদ মো. আলী হাসান। বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ।

সভায় স্বাগত বক্তব্যে বারি সরিষা-১৪ জাতটির বৈশিষ্ট, জীবনকাল ও চাষাবাদ সর্ম্পকে আলোচনা করেন অনুষ্ঠানের শুরুতে উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা এবিএম মমিন উর রশিদ।

তিনি মাঠ দিবসের মাধ্যমে বিভিন্ন ফসলের উৎপাদন বাড়াতে কৃষক-কৃষানীদের সচেতন করা হচ্ছে বলে জানান।

কৃষিবিদ মো. আলী হাসান বলেন, চলতি মৌসুমে এ জেলায় রাজস্ব খাতের অর্থায়নে বাস্তিবায়িত প্রদর্শনীর বারি সরিষা-১৪ জাতের চাষ করা হয়েছে। এরমধ্যে উচ্চ ফলনশীল বারি-১৪ ও বারি-১৫ জাতের সরিষা বেশির ভাগ জমিতে লাগানো হয়েছে। ফলনও বাম্পার হয়েছে।

তিনি বলেন, আবাদকৃত এই দুই জাতের সরিষার দামও কৃষক ভাল দাম পাবেন। ফলন আশাব্যঞ্জক হওয়ায় কৃষকের জন্য এ জাতের চাষ খুবই লাভজনক। এসময়ে তিনি কৃষক-কিষানীদের এই সরিষা আবাদ বাড়ানোর জন্য অনুরোধ জানান।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ সরিষা ১৪ জাতের বপনের সময় উল্লেখ করে বলেন, বারি সরিষা ১৪ বপনের উপযুক্ত সময় হলো মধ্য আশ্বিন থেকে মধ্য কার্তিক (অক্টোবর)।

তিনি জানান, ফলনের গুণগত বৈশিষ্ট্য গোল ও রং হলুদ, শুটি ৪ প্রকোষ্ঠ বিশিষ্ট। হাজার বীজ ৩.৫ থেকে ৩.৮ গ্রাম বীজে তেলের পরিমাণ ৪৩ থেকে ৪৪%।

এ কৃষিকর্মকর্তা জানান, জাতটি টরি ৭ এর বিকল্প হিসেবে চাষ করা যায়। জীবনকাল ৮০-৯০ দিন হওয়ায় কৃষকদের জন্য রবি মৌসুমে এর চাষ খুবই উপযোগী। এ জাতটি আমন ধান কাটার পর স্বল্পমেয়াদী জাত হিসেবে চাষ করে বোরো ধান রোপন করা সম্ভব।

মাঠ দিবসের আগে আগে মো: নূরুল ইসলাম এর বারি সরিষা-১৪ জাত প্রদর্শনী প্লটের উপস্থিত চাষীদের দেখানো হয়। চাষীদের সবাই এ জাতটি চাষাবাদের সম্মতি জ্ঞাপন করেন।

প্রায় শতাধিক কৃষক/কৃষাণীর উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত এ মাঠ দিবসটি সঞ্চলনা করেন আলমডাঙ্গা উপজেলা কৃষি অফিসের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. নজরুল  ইসলাম।

উচ্চ ফলনশীল বারি-১৪ ও বারি-১৫ জাতের সরিষা অধিক লাভজনক শিরোনামের সংবাদটির তথ্য ও ছবি কৃষি তথ্য সার্ভিস থেকে নেয়া হয়েছে।