অর্থ-বাণিজ্য ডেস্ক, এগ্রিকেয়ার২৪.কম: আন্তর্জাতিক বাজারে বাড়ছে কফির দাম। মার্চে সরবরাহ চুত্তিতে প্রতি পাউন্ড অ্যারাবিকা কফির দাম ২ দশমিক ৭ শতাংশ বেড়েছে। লেনদেন হয়েছে ২ ডলার ২৮ সেন্টে। ২০১৪ সালের পর এটিই সর্বোচ্চ দাম।

অ্যারাবিকা কফির ভবিষ্যৎ সরবরাহ মূল্য বেড়েছে বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলো। গত সোমবার সর্বশেষ কার্যদিবসে পানীয় পণ্যটির দাম বেড়ে সাত বছরের সর্বোচ্চে পৌঁছে বলে জানায় তারা।

দাম বাড়ার কারণ হিসেবে বিশ্লেষকরা বলছেন, চলমান সরবরাহ সংকট কফির বাজারকে অস্থিতিশীল করে তুলেছে। পাশাপাশি গত সপ্তাহে রোবাস্তা কফির দাম বেড়ে ১০ বছরের সর্বোচ্চে উন্নীত হয়েছে। এদিকে চিনি ও কোকোর দামও বেড়েছে। খবর বিজনেস রেকর্ডার।

ব্রাজিল বিশ্বের শীর্ষ কফি উৎপাদক। খরা ও পরিবহন ব্যয় বৃদ্ধিসহ নানা জটিলতার কারণে দেশটি থেকে রসদ সরবরাহ বিলম্বিত হচ্ছে। এটি আন্তর্জাতিক বাজারে কফির দাম বাড়াতে সহায়তা করছে। এর বাইরে চাহিদা বৃদ্ধির প্রত্যাশা, অ্যারাবিকা কফির মজুদ হ্রাস এবং সম্ভাব্য শুষ্ক আবহাওয়াও দাম বৃদ্ধিতে প্রভাব রাখছে।

কমার্জ ব্যাংক এক নোটে জানায়, বর্তমানে কার্গো সংকট চরমে। এর মধ্যেই ব্রাজিলে ধর্মঘট পালন করছে ট্রাকচালকরা। ফলে চলতি বছর ব্রাজিলের ৩৭ লাখ ব্যাগ (প্রতি ব্যাগে ৬০ কেজি) কফি রফতানি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

উল্লেখ্য, চলতি বছরের জানুয়ারিতে রোবাস্তা কফির দাম ১ শতাংশ বেড়ে যায়। প্রতি টনের দাম ২ হাজার ৩০০ ডলারে উঠে আসে। এটি ২০১১ সালের সেপ্টেম্বরের পর সর্বোচ্চ।

এগ্রিকেয়ার/এমএইচ