অর্থনীতি সংবাদ, এগ্রিকেয়ার২৪.কম: মালয়েশিয়ায় পাম অয়েল উৎপাদনের সেরা সময় চলছে। এ মাসে উৎপাদন লক্ষণীয় মাত্রায় বাড়ার প্রত্যাশা করছেন সংশ্লিষ্টরা। অন্যেদিকে ফিউচার মার্কেটে বেড়েছে মালয়েশিয়ান পাম অয়েলের দাম।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, শীর্ষ ক্রেতাদের ভারতে আসন্ন উৎসবকে ঘিরে পণ্যটির চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় মালয়েশিয়ান বাজার আদর্শটির দাম ঊর্ধ্বমুখী হয়ে উঠেছে। তবে উৎপাদন বাড়ার পূর্বাভাসের কারণে মূল্যবৃদ্ধির মাত্রা ছিল সীমিত। খবর বিজনেস রেকর্ডার।

তথ্য বলছে, বুরসা মালয়েশিয়া ডেরিভেটিভস এক্সচেঞ্জে মালয়েশিয়ান বাজার আদর্শ পাম অয়েলের ডিসেম্বরে সরবরাহ চুক্তির দাম ১৭ রিঙ্গিত বা দশমিক ৪৫ শতাংশ বেড়েছে। প্রতি টনের মূল্য স্থির হয়েছে ৩ হাজার ৭৫৪ রিঙ্গিত বা ৮২২ ডলার ৩৪ সেন্টে। এ নিয়ে টানা দ্বিতীয় দিনের মতো পণ্যটির দাম বেড়েছে।

পড়তে পারেন: ১৭১ টাকা দরে এক কোটি ২৫ লাখ লিটার সয়াবিন তেল কিনবে সরকার

কার্গোর তথ্য সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান সোসিয়েট ডে সারভেলিয়েন্স (এসজিএস) জানায়, ১-২০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মালয়েশিয়ার পাম অয়েল রফতানি ৩২ দশমিক ৭ শতাংশ বেড়েছে। রফতানির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৯ লাখ ৫২ হাজার ৮৮৮ টনে। আগস্টের একই সময় রফতানি করা হয়েছিল ৭ লাখ ১৮ হাজার ২৯১ টন।

এসজিএসের দেয়া তথ্য বলছে, চলতি মাসের প্রথম ২০ দিনে ভারতে রফতানি বেড়েছে ৫০ শতাংশ। আগামী মাসে দীপাবলি উৎসব উপলক্ষে আমদানি ব্যাপক হারে বাড়িয়েছে।

এদিকে গত আগস্ট মাসের পুরোটাই পাম ওয়েল আমদানি করেছে ভারত। মাত্র এক মাসের ব্যবধানে এই পরিমাণ দ্বিগুণ হয়েছে বলে ভারতীয় ব্যবসায়ীরা রয়টার্সকে জানিয়েছে। যা ১১ মাসের সর্বোচ্চে পৌঁছাল আমদানি।

আমদানি বাড়ার কারণ হিসেবে ডিলার ও ব্যবসায়ীদের ওপর পরিচালিত জরিপের তথ্য বলছে, দর সংশোধনের কারণে পরিশোধন প্রতিষ্ঠানগুলো পণ্যটি ক্রয়ের পরিমাণ বাড়িয়ে দিয়েছে। এক মাসের ব্যবধানে ভারতে পাম অয়েল আমদানি ৯৪ শতাংশ বেড়েছে। গত মাসে দেশটি ১০ লাখ ৩০ হাজার টন পাম অয়েল আমদানি করেছে।

ভারত বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ পাম অয়েল আমদানিকারক। দেশটি আমদানি বাড়ানোয় আন্তর্জাতিক বাজারে পাম অয়েলের ভবিষ্যৎ সরবরাহ মূল্য বাড়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। পাশাপাশি শীর্ষ উৎপাদন ইন্দোনেশিয়ার বৃহৎ আকারের মজুদ কমাতেও সহায়তা করছে এ আমদানি।

পড়তে পারেন: ২০ লাখ টন পাম ওয়েল মজুদ মালয়েশিয়ার

শীর্ষস্থানীয় ভোজ্যতেল ব্রোকার সানবিন গ্রুপের নির্বাহী প্রধান সন্দীপ বাজোরিয়া বলেন, সফট অয়েলগুলোর তুলনায় পাম অয়েল বর্তমানে অনেক বেশি প্রতিযোগিতাপূর্ণ অবস্থানে আছে। গত মাসে পণ্যগুলোর মধ্যে দামের ব্যবধানও বেড়েছে লক্ষণীয় মাত্রায়।

ডিলাররা বলছেন, বর্তমানে সেপ্টেম্বরে সরবরাহ চুক্তিতে ভারতের বাজারে অপরিশোধিত পাম অয়েল রফতানি হচ্ছে টনপ্রতি ১ হাজার ১১ ডলার মূল্যে (ব্যয়, বীমা ও জাহাজ ভাড়াসহ)। অথচ অপরিশোধিত সয়াবিন তেল রফতানি হচ্ছে টনপ্রতি ১ হাজার ৪৪৩ ডলারে।

এগ্রিকেয়ার/এমএইচ