নিজস্ব প্রতিবেদক, এগ্রিকেয়ার২৪.কম: প্রথমবারের মতো মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির ২৯ তম বৈঠক বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিএফআরআই) এর সদর দপ্তর ময়মনসিংহে অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ বুধবার (১২ সেপ্টেম্বের) এ বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান বাগেরহাট ০২ আসনের সংসদ সদস্য মীর শওকাত আলী বাদশাহ।

বৈঠকে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী নারায়ন চন্দ্র চন্দ, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য সংসদ সদস্য এডভোকেট মুহাম্মদ আলতাফ আলী, সংসদ সদস্য বেগম শামছুন নাহার (এডভোকেট), (মহিলা আসন-২৯), সংসদ সদস্য ইফতিকার উদ্দিন তালুকদার পিন্টু, ( নেত্রকোনা-৩)।

বৈঠকে আরো উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. রইছউল আলম মন্ডলসহ মন্ত্রণালয়ের উর্দ্ধতন কর্মকর্তা, সংসদ সচিবালয়ের কর্মকর্তা, মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন সংস্থা প্রধানগণ।

সভার শুরুতেই ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. ইয়াহিয়া মাহমুদ বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিএফআরআই) এর সার্বিক কার্যক্রমের ওপর পাওয়ার পয়েন্ট উপস্থাপন করেন।

প্রসঙ্গত, বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিএফআরআই) দেশের মৎস্যসম্পদ উন্নয়নে গবেষণা পরিচালনার জন্য একমাত্র জাতীয় প্রতিষ্ঠান।

ইনস্টিটিউটের গবেষণা কার্যক্রম দেশের বিভিন্ন অঞ্চলেঅবস্থিত ৫টি কেন্দ্র ও ৫টি উপকেন্দ্র হতে পরিচালিত হয়ে থাকে। গবেষণা কেন্দ্রগুলো হচ্ছে- স্বাদুপানি কেন্দ্র, ময়মনসিংহ, নদী কেন্দ্র, চাঁদপুর, লোনাপানি কেন্দ্র, পাইকগাছা, খুলনা, সামুদ্রিক মৎস্য ও প্রযুক্তি কেন্দ্র, কক্সবাজার এবং চিংড়ি গবেষণা কেন্দ্র,বাগেরহাট।

উপকেন্দ্র ৫টি হচ্ছে নদী উপকেন্দ্র, রাঙ্গামাটি, প্লাবনভূমি উপকেন্দ্র, সান্তাহার, বগুড়া, স্বাদুপানি উপকেন্দ্র, যশোর, নদী উপকেন্দ্র, খেপুপাড়া, পটুয়াখালী এবং স্বাদুপানি উপকেন্দ্র, সৈয়দপুর, নীলফামারী। ইনস্টিটিউট দেশের মৎস্যসম্পদ উন্নয়নে জাতীয় চাহিদার নিরীখে গবেষণা পরিচালনা করে এ যাবত ৬০টি প্রযুক্তি উদ্ভাবন করেছে।

এরমধ্যে ৪৯টি মাছের প্রজনন, জীনপুল সংরক্ষণ, জাত উন্নয়ন ও চাষাবাদ বিষয়ক এবং অপর ১১টি ব্যবস্থাপনা বিষয়ক। এসব প্রযুক্তি মাঠ পর্যায়ে সম্প্রসারণের ফলে দেশে মাছের উৎপাদন উল্লেখ্যযোগ্য পরিমাণে বৃদ্ধি পেয়েছে এবং গ্রামীণ কর্মসংস্থানের নতুন সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।