ডেস্ক প্রতিবেদন: গবেষণার মাধ্যমে কৃষির নতুন জাত উদ্ভাবন ও পরীক্ষা নিরীক্ষা চলে প্রতিনিয়ত। সেই সাথে চলে নিত্য নতুন উদ্ভাবিত জাতের ফলের কৃষক পর্যায়ের পৌছে দেওয়ার কাজ। তেমনই একটি নতুন জাতের গমের কথা আজ আপনাদেরকে জানাবো। বাংলাদেশে এখনও কালো রংয়ের গমের চাষ শুরু না হলেও ভারতের উত্তর প্রদেশের কৃষকরা চাষ করছেন এই গম। কৃষকরা রবি মৌসুমে এই গম চাষ করেন। কৃষি বিজ্ঞানীদের ধারণা কালো রংয়ের এই গম মানুষকে মারাত্মক রোগ থেকেও বাঁচাবে। তাছাড়া এই গম চাষে কৃষকও অনেক বেশি লাভবান হচ্ছে।

কালো গম দেখতে আকারে অন্যান্য গমের মতো তবে গমের রং কালো হয়। তবে কলো এই গমের ময়দা বেশি কালো নয়। এই গমের আটার রুটি দেখতে গোলাপি রর্ণের হয়। তবে এই গমের আটার বিস্কুট বা ব্রেড বানালে সেটার রং পুরোপুরি কালো হয়। আর গমের রং কালো হওয়ার জন্য যে উপাদানটি কাজ করে তার নাম হলো এন্থোসায়ানিন। এন্থোসায়ানিন শুধু গম নয় অন্যান্য ফলের রংয়ের জন্য দায়ী।

পুষ্টি বিজ্ঞানীদের মতে, সাধারণ গমের চেয়ে কালো জাতের গম বেশি পুষ্টি উপাদান আছে। এই গম মানুষকে অনেক মারাত্মক রোগ যেমন, ক্যান্সার, সুগার, কোলেস্টরল, হৃদরোগ, স্ট্রেস রক্ষা করতে পারে এবং দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় । কালো গমের হজম ক্ষমতা স্বাভাবিকের থেকে বেশি। যা আমাদের পরিপকতন্তের জন্য খুবই উপযোগী। এছাড়া, এই প্রজাতির গমে উচ্চ প্রোটিন এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট রয়েছে, যা আমাদের শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী।

তাই দিন দিন এই গমের চাহিদা বেড়েই চলছে। কালো গম বিক্রি হয় ১৫০ টাকা কেজি। কালো গম ও ধান চাষ করে তাঁদের মতো চাষিরা এখন বছরে পাঁচ লক্ষ টাকারও বেশি আয় করেন। 

এই গম সাধারণত নভেম্বর মাসে বপন করা হয় এবং বিঘায় উৎপাদন হয়  ১০ থেকে ১২ কুইন্টাল হয়।

আপাতত, এই গম শুধু ভারতেই পাওয়া যাচ্ছে এবং সেখানেই চাষ হচ্ছে। তবে হয়ত খুব শিঘ্রই বাংলাদেশে কালো গমের চাষ শুরু হবে বলেও আমরা আশা রাখি।