আন্তর্জাতিক কৃষি ডেস্ক, এগ্রিকেয়ার২৪.কম: বৈরী আবহাওয়ার কারণে শীর্ষ দেশগুলোয় উৎপাদন বিপর্যয়ের মুখে রয়েছে। বিশ্বজুড়ে গম উৎপাদন কমছে। ফলে দাম কিছুটা বাড়তে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে ইন্টারন্যাশনাল গ্রেইন কাউন্সিল (আইজিসি)।

আইজিসি বলছে, যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডায় এ বছর গমের গড় উৎপাদন কমেছে। এ কারণে যুক্তরাষ্ট্রে গমের মজুদ কমে ১ কোটি ৫৮ লাখ এবং কানাডায় ৩৫ লাখ টনে নামতে পারে। ২০২১-২২ মৌসুমে আগের পূর্বাভাসের তুলনায় উৎপাদন ৩০ লাখ টন কমবে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি। সম্প্রতি প্রকাশিত খাদ্যশস্যের বাজারসংক্রান্ত মাসভিত্তিক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।

সংস্থাটি বলছে, সরবরাহ নিশ্চিতে হিমশিম খাচ্ছেন আন্তর্জাতিক বাজারের ক্রেতারা। কৃষিপণ্যটির নিম্নমুখী উৎপাদনই খাদ্যশস্যের বৈশ্বিক উৎপাদনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। কমছে যব উৎপাদনও।

প্রতিবেদনে দেয়া পূর্বাভাস অনুযায়ী, ২০২১-২২ মৌসুমে খাদ্যশস্যের বৈশ্বিক উৎপাদন ২২৮ কোটি ৭০ লাখ টনে পৌঁছবে। পূর্বাভাস কমানো হলেও এটি গত মৌসুমের তুলনায় ৭ কোটি ৬০ লাখ টন বেশি।

বিশ্বজুড়ে গমের চাহিদা লাফিয়ে বাড়ছে। কিন্তু সে তুলনায় নেই সরবরাহ। এ কারণে অস্থিতিশীল হয়ে উঠছে কৃষিপণ্যটির বাজার। পণ্যটির বৈশ্বিক উৎপাদন পূর্বাভাস ৪০ লাখ টন করে কমানো হয়েছে। গত মাসের পূর্বাভাসের তুলনায় মজুদ ২০ লাখ টন কমানো হয়েছে।

আইজিসি জানায়, গমের বৈশ্বিক উৎপাদন পূর্বাভাস কমিয়ে ৭৭ কোটি ৭০ লাখ টনে নামিয়ে আনা হয়েছে। মূল কারণ ইরানে ভয়াবহ উৎপাদন বিপর্যয়। পশ্চিম এশিয়ার দেশটিতে খরা বিধ্বংসী রূপ ধারণ করেছে। এ কারণে গম উৎপাদন কমে ১৩ বছরের সর্বনিম্নে নেমেছে। গত বছরের তুলনায় উৎপাদন ২১ শতাংশ কমে ১ কোটি ১৫ লাখ টনে দাঁড়িয়েছে। পাশাপাশি কাজাখস্তান, আলজেরিয়া ও ইউরোপীয় ইউনিয়নেও উৎপাদন আশঙ্কাজনক হারে কমছে।

২০২১-২২ মৌসুমের জন্য গমের বৈশ্বিক মজুদ পূর্বাভাস কমিয়ে ২৭ কোটি ৪০ লাখ টন ধরা হয়েছে। গত বছরের তুলনায় মজুদ কমবে ৪০ লাখ টন। এর মধ্য দিয়ে তিন মৌসুমে প্রথমবারের মতো গমের বৈশ্বিক মজুদ কমতে যাচ্ছে বলে জানিয়েছে আইজিসি।

এক বছরের ব্যবধানে মজুদ কমে যাওয়ায় সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়েছে শীর্ষ গম রফতানিকারক দেশগুলোয়। এসব দেশের মজুুদ ৬৬ লাখ টন করে কমে ৫ কোটি ৩৪ লাখ টনে নামার আশঙ্কা করছে আইজিসি। এটি হবে ২০১২-১৩ মৌসুমের পর সর্বনিম্ন মজুদ।

এগ্রিকেয়ার/এমএইচ