বোরো ধানের বীজতলা তৈরির

ডেস্ক প্রতিবেদন, এগ্রিকেয়ার২৪.কম: মাঠে এখন বোরো ধানের বীজ তলা তৈরির একেবারে সঠিক সময়। বোরো ধানের বীজতলা তৈরির সঠিক নিয়ম ও বিশেষ পরামর্শ নিচে তুলে ধরা হলো। মনে রাখতে হবে আধুনিক ও সঠিক নিয়মেই বীজতলা তৈরিতে অধিক লাভবান হওয়া যাবে।

কৃষি তথ্য সার্ভিস সূত্র জানায়, আগ্রহায়ণ মাস বোরো ধানের বীজতলা তৈরির উপযুক্ত সময়। রোদ পড়ে এমন উর্বর ও সেচ সুবিধাযুক্ত জমি বীজতলার জন্য নির্বাচন করতে হবে।

চাষের আগে প্রতি বর্গমিটার জায়গার জন্য ২-৩ কেজি জৈব সার দিয়ে ভালোভাবে জমি তৈরি করতে হবে। পানি দিয়ে জমি থকথকে কাদা করে এক মিটার চওড়া এবং জমির দৈর্ঘ্য অনুসারে লম্বা করে ভেজা বীজতলা তৈরি করতে হবে। যেসব এলাকায় ঠান্ডার প্রকোপ বেশি সেখানে শুকনো বীজতলা তৈরি করতে পারেন। প্রতি দুই প্লটের মাঝে ২৫-৩০ সেমি. নালা রাখতে হবে।

এলাকাভেদে সঠিক জাত নির্বাচন: যেসব এলাকায় সেচের পানির ঘাটতি থাকে সেখানে আগাম জাত হিসেবে ব্রি ধান২৮, ব্রি ধান৪৫ এবং ব্রি ধান৫৫, উর্বর জমি ও পানি ঘাটতি নাই এমন এলাকায় ব্রি ধান২৯, ব্রি ধান৫০, ব্রি ধান৫৮, ব্রি ধান৫৯, ব্রি ধান৬০, ব্রি হাইব্রিড ধান১, ব্রি হাইব্রিড ধান২ ও ব্রি হাইব্রিড ধান৩, ঠান্ডা প্রকোপ এলাকায় ব্রি ধান৩৬, হাওড় এলাকায় বিআর১৭, বিআর১৮, বিআর১৯, লবণাক্ত এলাকায় ব্রি ধান৪৭, ব্রি ধান৫৫, ব্রি ধান৬১ চাষ করতে পারেন।

বীজ বপন করার আগে ৬০ থেকে ৭০ ঘন্টা জাগ দিয়ে রাখতে হবে। এসময় ধানের অঙ্কুর গজাবে। অঙ্কুরিত বীজ বীজতলায় ছিটিয়ে বপন করতে হবে। প্রতি বর্গমিটার বীজ তলার জন্য ৮০ থেকে ১০০ গ্রাম বীজের প্রয়োজন হয়।

আরও পড়ুন: বোরো আবাদ, জাত পরিচিতি ও ফলন বৃদ্ধির গুরুত্ব এবং করণীয়

বোরো ধানের বীজতলা তৈরির সঠিক নিয়ম ও বিশেষ পরামর্শ অবশ্যই মেনে চলা উচিত হবে। কেননা সঠিকভাবে বীজতলা নির্বাচনের ওপর ধানের ফলন পাওয়া অনেকটাই নির্ভর করে। সঠিক চারা উৎপাদন করতে না পারলে ভালো ফলন পাওয়া যাবে না। এ বিষয়ে যে কোনো তথ্য জানার থাকলে আমাদের ফেসবুক পেজে অথবা মেইলে জিজ্ঞাসা করতে পারেন। আমরা সাথে সাথে তার সঠিক পরামর্শ তুলে ধরবো। প্রিয় কৃষক ভাইয়েরা মনে রাখবেন আধুনিক প্রযুক্তি কেবল কৃষিকে লাভবান করতে পারে।