ডেস্ক প্রতিবেদন, গত এক মাসের ব্যবধানে প্রায় দ্বিগুন দাম বেড়েছে ব্রয়লার মুরগির। পাইকারি ও খুচরা উভয় বাজারেই এ মুরগির দাম বেড়েছে। সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, রোজার সময়েও এমন দাম থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।

এদিকে কৃষিমন্ত্রী এক অনুষ্ঠানে জানিয়েছেন, সহসাই কমছে না মুরগির দাম। তবে এ দাম হঠাৎ করে বৃদ্ধির কারণ হিসেবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দেশে অনেক খামার কমে গেছে এবং খাদ্যের দাম বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে মুরগির দাম এতো বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রয়োজনের তুলনায় সরবরাহ কম থাকলে দাম ‍বৃদ্ধি পাওয়াই স্বাভাবিক।

তবে ব্রয়লার মুরগির দাম বৃদ্ধির সাথে গরুর মাংসের দামও বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে মধ্যবিত্তের পুষ্টিতে টান পড়েছে বলে বাজার বিশ্লেষকরা মনে করছেন। গরীবের আমিষ খ্যাত পোল্ট্রির মাংস অনেকেই কিনতে পারছেন না। সামনে রোজা অনেকেই সাধ্যমত মুরগি কিনতে পারবেন না।

রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, কেজিপ্রতি ব্রয়লার মুরগির বিক্রি হচ্ছে ২৫০ থেকে ২৭০ টাকা। কোথাও আরও বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া অনেক জায়গায় এখনো ২৪০ টাকায় এক কেজি ব্রয়লার মুরগি কিনতে পারছেন ক্রেতারা।

পাশাপাশি সোনালী মুরগির দামও কিছুটা বেড়েছে। ৩৫০ থেকে ৩৬০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে। তবে পাইকারি পর্যায়ে ৩২০ থেকে ৩৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এদকে ডিমের বাজার অনেকটাই স্থিতিশীল রয়েছে। ক্রেতারা বলছেন, সাধ্যমত ডিম কেনা যাচ্ছে কিন্তু মুরগির মাংস কেনা যাচ্ছে না।

খামারিরা বলছেন, খুচরা বাজারে মুরগির দাম অনেক বেশি বৃদ্ধি পেলেও পাইকারি বাজারে অর্থাৎ খামার পর্যায়ে সেভাবে বৃদ্ধি পায় নি। খামার থেকে পাইকারি দামে ব্রয়লার মুরগি কেজিপ্রতি ২২০ থেকে ২৩০ টাকায় বিক্রি হতে দেখো গেছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় সব কিছুর দাম বৃদ্ধির কারণে খামারিদের খরচও বেড়েছে। তাই সারাবছর এমন দাম থাকা বলে মত দেন খামারিরা।

আরও পড়ুন:সোমবারের (২০ মার্চ) ডিম, মুরগী ও বাচ্চার পাইকারি দাম